এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি আদালতের, কি বক্তব্য বিজেপির? বিশেষজ্ঞরাই বা কি বলছেন?

শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি আদালতের, কি বক্তব্য বিজেপির? বিশেষজ্ঞরাই বা কি বলছেন?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একাধিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আদালতের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোভিড বিধি ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে কিনা? তার নজরদারি করবে এই কমিটি। যে কমিটিতে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, মানবাধিকার কমিশনের এক সদস্য। আদালতের এই রায়ের পর বক্তব্য রাখলেন বিজেপি নেতারা।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানালেন, আদালতের রায় তাঁরা মেনে চলবেন। আদালতের রায়ে মানতেই হবে। যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, সে কমিটি খুব তাড়াতাড়ি কাজ আরম্ভ করে দেবে। সে কমিটির মাধ্যমে এমন কিছু নিয়মকানুন তৈরি করে মেলা হবে, যার দ্বারা সংক্রমণ রোধ করা যায়। কিন্তু তিনি মনে করছেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণমুক্ত করে মেলা করা প্রায় অসম্ভব। তিনি বিশ্বাস করছেন, আদালতের এই রায় সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন, সব ধরনের মেলাই এসময় বন্ধ করে দেওয়া উচিত। গতবছর সংক্রমণের কারণে কুম্ভ মেলা মাঝপথে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। মানুষকে বোঝানো উচিত ছিল মানুষের জীবনের মূল্য বেশি। মানুষকে বোঝানো উচিত যাতে বিপদ না বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা, গতবছর হরিদ্দারের কুম্ভ মেলার মতো এবছরও সুপারস্পেডার হয়ে উঠতে পারে গঙ্গাসাগর মেলা। সংক্রমণের কারণে বড়দিনের উৎসব, বর্ষবরণের উৎসব বাতিল করে দেয়া হয়েছিল মহারাষ্ট্রে, দিল্লিতে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা করা হয়নি। অনেকের অভিমত, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কারণেই উৎসবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গোয়ার ভোটের কথা মনে করে বড়দিনের উৎসব বাতিল করা হয়নি। আবার উত্তরপ্রদেশের ভোটের কথা ভেবে গঙ্গাসাগর মেলা করতে দেয়া হচ্ছে। এই মেলাতে বহু মানুষ আসেন উত্তর প্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে।

এ প্রসঙ্গে বর্ষিয়ান চিকিৎসক কুনাল সরকার জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের দিক দিকে নজর রাখা হচ্ছে, লাইফ ব্যাংকের দিকে নজর রাখা হয়নি। ভোটের দিকে তাকানো হচ্ছে, ভোটারের দিকে নয়। মানুষ এখন শতাংশতে পরিণত হয়েছেন। মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই। শাসক যদি সংবেদনশীল না হন, তখন মানুষকে ভুগতেই হবে। ঢেউ আসতোই, এখন এটাই দেখার তার উচ্চতাকে কতটা বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে? ১ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ছিল, সেটা এবার ১০ লক্ষ না হয়ে যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!