এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > শাসকদলের চোখে চোখ রেখে আজ জঙ্গলমহলের গেরুয়া দূর্গে ঝড় তুলতে চলেছেন শুভেন্দু-দিলীপ যুগলবন্দী

শাসকদলের চোখে চোখ রেখে আজ জঙ্গলমহলের গেরুয়া দূর্গে ঝড় তুলতে চলেছেন শুভেন্দু-দিলীপ যুগলবন্দী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল নন্দীগ্রামে সভা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখান থেকে তিনি শাসকদল তৃণমূলকে বেশিকিছু এলাকায় ভোকাট্টা করে দেবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ করেছেন শাসকদল তৃণমূলকে। এরপর আজ জঙ্গলমহলে সভা করতে চলেছে শুভেন্দু অধিকারী। আর এই সভায় যোগদান করতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতার হাইভোল্টেজ সভা থেকে কী ঝড় ওঠে? তাঁরা কী বক্তব্য রাখতে চলেছেন? সেদিকেই কৌতুহল রয়েছে সকলের।

বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আজ দুপুর তিনটের সময় ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানে এই সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আজ খড়্গপুরে কিছু সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অনুষ্ঠান শেষে তিনি আসতে চলেছেন ঝাড়গ্রামের এই সভাতে। গতকাল নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় নয়া কৃষি আইনের সমর্থনে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের শিবরামপুর থেকে ঢোলপুকুর বাজার পর্যন্ত কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে তিনি পদযাত্রা করেছিলেন। পদযাত্রার পর বিরুলিয়া গ্রামের একাধিক কৃষক পরিবারের কাছ থেকে শষ্যদানা সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর কৃষকদের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন তিনি। মধ্যাহ্নভোজের পর নন্দীগ্রামে সভা করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গতকাল এই সভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিছুদিন আগে ভবানীপুরের সঙ্গে সঙ্গে নন্দীগ্রাম থেকেও বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী জানান, দুটি নয় একটা জায়গা থেকেই তাঁকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে। এরপর তিনি জানান নন্দীগ্রামের ১৪ টি জায়গায় ভোকাট্টা করে দেবেন তিনি তৃণমূলকে। মাত্র তিনটি জায়গা থেকে তৃণমূল ভোট পেতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীকে দুটি জায়গা থেকে কখনোই দাঁড়াতে দেয়া হবে না। এক জায়গা থেকেই তিনি লড়াই করুন।

শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কটাক্ষ করে জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে পাঁচ বছর পর পর। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী কিছুদিন হলো ” হরে কৃষ্ণ হরে হরে, বিজেপি ঘরে ঘরে। ” এক স্লোগান চালু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার পাল্টা হিসেবে বলেছেন, ” হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে।” এর জবাবে শুভেন্দু অধিকারীর জানালেন যে, এখন থেকে বিজেপির শ্লোগান পর্যন্ত চুরি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান যে, তৃণমূল এখন খাটে উঠে পড়েছে। এখন বলতে হবে শুধু ‘ হরিবোল’। তৃণমূলের নৌকা ফুটো হয়ে গেছে, বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

তিনি জানিয়েছেন তৃণমূল চাল চুরি করেছে, অম্ফানের সময় ত্রিপল চুরি করেছিল,এখন করোনা টিকা চুরি করছে। জনগণের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, ভোটের দিন ঘোষণার দিনে তিনি বীজ পুঁতবেন, ভোটের ফল ঘোষণার দিন তিনি ফসল তুলবেন। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপিকে কটাক্ষ করে পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানালেন যে, এক মাসের মধ্যে জুট কর্পোরেশনকে লুঠ কর্পোরেশন পরিণত করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এর জবাবে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির কথার কোন ঠিক নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!