এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্বাস্থ্য দপ্তরের ভুল রিপোর্টের দৌলতে করোনাতঙ্কে খোদ শাসক দলের বিধায়ক! উঠছে নানা প্রশ্ন!

স্বাস্থ্য দপ্তরের ভুল রিপোর্টের দৌলতে করোনাতঙ্কে খোদ শাসক দলের বিধায়ক! উঠছে নানা প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –করোনা পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে বারবার আক্রমণ করতে দেখা গেছে বিরোধীদের। এক্ষেত্রে করোনা রোগীদের সঠিক পরিমাণে চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। কিন্তু এবার শাসকদলের বিধায়ক এক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তার পরামর্শে যেভাবে নিজেকে গৃহবন্দি করে রাখলেন, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। জানা গেছে, করোনা নেগেটিভ হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যকর্তার পরামর্শ মোতাবেক মন্দিরবাজারের তৃণমূল বিধায়ক জয়দেব হালদার ভেবেছিলেন, তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এমনকি কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে নিজেকে করোনা আক্রান্ত রোগী ভেবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান এই তৃণমূল বিধায়ক। পরপর দুবার তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আর তারপরেই কিছুটা হলেও হাফ ছাড়েন তিনি।

যেভাবে এক স্বাস্থ্যকর্মীর ভুল বোঝানোর কারণে তাকে বেশ কিছুদিন গৃহবন্দী হয়ে থাকতে হল এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হল! তাতে সেই স্বাস্থ্যকর্মীর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।কেন এভাবে তৃণমূল বিধায়ককে আতঙ্কিত করলেন সেই স্বাস্থ্যকর্মী? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক জয়দেব হালদার বলেন, “এলাকার এক তৃণমূল নেতা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে কলকাতার হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছিল। ওই নেতার সঙ্গে আমরা বেশ কয়েকজন বেশকিছু দলীয় কর্মসূচি করেছি‌‌ তাই নিয়ম মেনে আমরা সকলে করোনা পরীক্ষা করাই এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক ডাঃ জয়দেব মণ্ডলের মাধ্যমে আমায় খবর দেওয়া হয় যে, আমার রিপোর্ট পজিটিভ। তার আগেই আমি অবশ্য নিজেকে গৃহবন্দী করে রাখি। কিন্তু পজিটিভ হওয়ার মৌখিক সংবাদে সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাই। পরপর দুদিন নমুনা পরীক্ষায় আমার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে ডাক্তার মন্ডল আমায় ফোন করে বলেন যে, ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমায় পজেটিভের কথা বলা হয়েছিল। এই গোলমালের কারণে তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে।” কিন্তু একজন চিকিৎসক কেন এইভাবে বিভ্রান্ত করবেন? শাসক দলের বিধায়ক যদি এইভাবে বিভ্রান্তির শিকার হন, তাহলে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায়? যেখানে করোনা রোগীদের বাঁ চোখে দেখা হচ্ছে, সেখানে এইভাবে যদি ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, তাহলে তো মানুষ প্রবলভাবে বিভ্রান্তির শিকার হবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে ডাক্তার জয়দেব মন্ডল বলেন, “বিধায়ককে আমরা সরাসরি পজিটিভ হওয়ার কথা মোটেও জানাইনি।

তাকে বলা হয়েছিল যে, প্রাথমিকভাবে ওনার যে রিপোর্ট পজেটিভ এসেছিল ল্যাবরেটরীতে। তাতে পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেজন্য ওনাকে গৃহবন্দি হয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ওনাকে বুঝিয়ে বলার ক্ষেত্রে হয়ত কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে।” কিন্তু এই ভুল যে খুব একটা ছোটখাটো ভুল নয়, তা বুঝতে পারছেন সকলেই। তাই করোনা রয়েছে কিনা, তা নির্ধারণ করতে চিকিৎসকদের আরও সচেতনতার প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!