প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে লাগাতার কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে সরব হতে দেখা যাচ্ছিল বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। যে সমস্ত রাজ্যে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সরকারে রয়েছে, সেখানে প্রতিবাদ সংগঠিত করা হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে করে ছাড় দেওয়ার পর পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা হলেও নিম্নগামী। আর এরপর থেকেই বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা যে সমস্ত রাজ্যের বিজেপি বিরোধী সরকার রয়েছে, সেই সমস্ত রাজ্যের সরকারের দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছে।

কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে করে ছাড় দিলেও সেই সমস্ত রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না, কেন তারা নিজেরা করে ছাড় দিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার টুইট করে সেই সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দখলে থাকা রাজ্যে পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। যেখানে একটি টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন একটি টুইট করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। যেখানে তিনি লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে, অশোক গেহলট, কেসিআর, এম কে স্ট্যালিন, পিনারাই বিজয়নের মত বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর ভ্যাট কমাক। তাদের রাজ্যের মানুষ বাধ্য হয়ে চড়া দামের জ্বালা সহ্য করছেন। এই ধরনের সিদ্ধান্ত একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।” একাংশ বলছেন, এবার বিজেপির পক্ষ থেকে পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল।

এতদিন পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে লাগাতার কটাক্ষ করতে দেখা যেত এই সমস্ত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও কেন পশ্চিমবঙ্গ সহ যে সমস্ত রাজ্যের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় রয়েছে, তারা মানুষের সুবিধার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। আর এবার সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা নেত্রীদের ঘুম উড়িয়ে দিলেন অমিত মালব্য। যাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।