এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > জন্মশতবর্ষে পিতা সত্যজিৎকে শ্রদ্ধার্ঘ, পুত্র সন্দীপ দিতে চলেছেন এক মহাচমক, জানলে চমকে যাবেন

জন্মশতবর্ষে পিতা সত্যজিৎকে শ্রদ্ধার্ঘ, পুত্র সন্দীপ দিতে চলেছেন এক মহাচমক, জানলে চমকে যাবেন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাঙালির কাছে অন্যতম সেন্টিমেন্ট সত্যজিৎ রায়। তাঁর হাত ধরেই বাঙালির সিনেমাকে শিল্প করে দেখার চোখ, তাঁর হাত ধরেই বাঙালির মগজাস্ত্রে শান দেওয়া এবং তাঁর হাত ধরেই বাঙালির কল্পজগতে ভেসে যাওয়া। আর এই সমস্ত কিছুই একটি মানুষকে কেন্দ্র করে, যার নাম সত্যজিৎ রায়।

আজকের দিনে আমরা এই যে এত সেলফি তুলে বেড়াই, সত্যজিৎ রায় তাঁর জীবনের প্রথম পর্যায়ে ক্যামেরায় সুতো বেঁধে তাঁর এবং তাঁর মায়ের ছবি তুলে ফেলেন। যা কিনা সম্ভবত প্রথম সেলফি বলেই মনে করেন অনেকে। আর যে মানুষটি আমাদের আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের থেকে এতটা আধুনিক, তাঁর সৃষ্ট চরিত্র যে বাঙালির মনে চির নবীন সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হয় না।

আর সেই সত্যজিৎ রায়ের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ এর তরফ থেকে জানা গেছে একটি সুন্দর প্রচেষ্টার কথা। জানা যাচ্ছে প্রদোষ চন্দ্র মিত্র এবং প্রফেসর ত্রিলোকেশ্বর শঙ্কু একইসঙ্গে সিনেমার পর্দায় আসতে চলেছেন। আর যার মধ্যে দিয়ে একদিন যেমন এই সিনে মাস্টারকে তাঁর সন্মান জানানো হবে, তেমনই বাঙালি তাঁর জীবনের সেই চরিত্রগুলোকে আবারও একবার উপভোগ করতে পারবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর দুই আইকনিক চরিত্রকে একই ছবিতে নিয়ে আসতে চলেছেন সত্যজিৎপুত্র নিজেই। তবে এক্ষেত্রে শোনা গেছে, ফেলুদা ও শঙ্কুকে এক ছবিতে দেখা যাবে ঠিকই, তবে ছবির এক ফ্রেমে নাও দেখা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দু’টি ভিন্ন গল্পে দুই সত্যানুসন্ধানীকে আলাদা করে দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে জানা গেছে শঙ্কুর চরিত্রে সম্ভবত ‘প্রোফেসর শঙ্কু ও এল ডোরাডো’র শঙ্কু চরিত্রে অভিনয় করা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়ই থাকবেন। তবে ফেলুদার চরিত্রে কে অভিনয় করবেন, সেই কথা এখনো জানা যায়নি। তবে সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হতে পারে বলেও জানা গেছে।

বস্তুত, সত্যজিৎ রায়ের জন্মমাস অর্থাৎ মে মাসে এই ছবি বড়পর্দায় দেখা যাবে বলেই আসর সাজাচ্ছেন ফেলুদা ও শঙ্কু। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসের ‘সন্দেশ’ পত্রিকায় ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ প্রকাশিত হয়। তবে এর চার বছর আগেই প্রফেসর শঙ্কুর সৃষ্টি করেন তিনি। সেখানে তিনি বিজ্ঞানের সঙ্গে কল্পনারও মেলবন্ধন ঘটান। সন্দীপ রায়ের হাত ধরে এবার এই দুই চরিত্র আলাদা করে প্রাণ পায় কিনা, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!