এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সভার দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূলের চাপা অসন্তোষ এল প্রকাশ্যে, জোর চাঞ্চল্য – জেনে নিন বিস্তারিত

সভার দায়িত্ব নিয়ে তৃণমূলের চাপা অসন্তোষ এল প্রকাশ্যে, জোর চাঞ্চল্য – জেনে নিন বিস্তারিত

তৃণমূলের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা তো ছিলই, কিন্তু সবথেকে বেশি চর্চা হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে। যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমোও বন্ধ করতে পারছেন না। এবার এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার শুরু হল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর এলাকায়।

ঘটনার সূত্রপাত, ভরতপুর 1 ব্লক এ একটি সভার আয়োজন হয়। এবং সভাটির দায়িত্ব দেওয়া হয় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ভরতপুর 2 ব্লকের নেতাদের। এই ঘটনায় এলাকায় তৃণমূল দলের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। ভরতপুর 1 ব্লক এর নেতাদের কথায় চাপা রেষারেষির স্বর স্পষ্ট ছিল।

এবার ভরতপুর বিধানসভা দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেলেন ভরতপুর 2 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজহারউদ্দিন সিজার। এই ঘটনায় ভরতপুরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।

দিন কয়েক আগেই বিধানসভায় তৃণমূলের শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও কংগ্রেসের কমলেশ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে প্রকাশ্য বিবাদ শুরু হয়। ঘটনার সূত্রপাত, কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজককে শুভেন্দু অধিকারী ক্ষমা চাইতে বলেন। কারণ হিসেবে বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী কে তিনি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেছিলেন।

শুভেন্দু অধিকারী এখানেই না থেমে মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস পক্ষকে আক্রমণ করে বলেন – ‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস সাফ হয়েছে। পরের বিধানসভা ভোটে বাকি যারা আছে সকলেই তৃণমূলে আসবে।’ এই ঘটনায় ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায় পরিবহণ মন্ত্রীর দিকে তেড়ে গেলে শুরু হয় বাদানুবাদ।ঘটনার জেরে, শনিবার কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বাড়ির 100 মিটারের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী সভা করেন এবং এই সভার পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন ভরতপুর 2 নম্বর ব্লকের তৃণমূল নেতারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী আজহারউদ্দিন সিজার কে নিয়ে ঘোষণা করেন, “এখন থেকে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলের সমস্ত সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবেন সিজার। তিনি ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নেতৃত্ব দেবেন।” সাথে সাথেই দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেয়। ভরতপুর 1 নম্বর ব্লকের নেতারা এই ঘটনায় চরম হতাশ বলে জানা গেছে।

তবে প্রকাশ্যে ভরতপুর 1 ব্লক এর সভাপতি নুর আলম বললেন, “এখন শুভেন্দুদা যে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা সেই মতই সংগঠনের কাজ করব। আমাদের মধ্যে কোনো কোন্দল নেই।”অন্যদিকে মহম্মদ আজহারউদ্দিন সিজার ভরতপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে রীতিমতন খুশি। যা তার বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, পদ পাওয়া বড় কথা নয়, পদের সম্মান রাখাটাই এখন আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ,”

উল্টোদিকে শাসকদলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চ্যাটার্জির বক্তব্য, “আমাকে সবক শেখানোর আগে পরিবহনমন্ত্রীর উচিত ছিল দলের কোন্দল মেটানো।”ভরতপুর বিধানসভার দলীয় কোন্দল এখন কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!