এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেশপুরে বিজেপির মিছিলে ঝড় তুললেন সায়ন্তন বসু-ভারতী ঘোষ

সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কেশপুরে বিজেপির মিছিলে ঝড় তুললেন সায়ন্তন বসু-ভারতী ঘোষ


কেশপুরকে তৃণমূলের শেষপুর করার জন্য আরো একবার হুঙ্কার ছাড়লেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম শীর্ষনেতা সায়ন্তন বসু। মঙ্গলবার দুপুরে বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন কেশপুরের বিজেপি নেতা তন্ময় সাহা এবং হাজার খানেক বিজেপি কর্মী সমর্থক।

এদিন আরো একবার সায়ন্তন বসু পুলিশ ও তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে হুঙ্কার ছাড়েন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, এই কেশপুর হবে তৃণমূলের শেষপুর। কেশপুরের মানুষ তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। মানুষের মন আর তৃণমূলের দিকে আসবে না। হাজার-হাজার মানুষ তাই আজ বিজেপিমুখী হয়েছেন। সিপিএম কেশপুরের মানুষের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার চালিয়েছেন তৃণমূলের অত্যাচার একে ছাপিয়ে গেছে।

সায়ন্তনবাবু আরও বলেন, এই কেশপুর একদিন ছিল বামেদের লালদুর্গ । আজ আর এখানে বামফ্রন্টের কাউকে দেখতে পাওয়া যায় না। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে – একই ভাবে তৃণমূলও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলের আগেই, কেশপুরের মানুষের ক্ষমতা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। এখানে পালা বদল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কেশপুর ছিল কিন্তু তৃণমূলেরই পাশে। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বাকি ৬ বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় বিজেপি ও তৃণমূলের, বহু জায়গাতেই শাসকদলের ঘুম উড়িয়ে দেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু, কেশপুর ৯৬ হাজার ভোটে লিড দেয় তৃণমূলের প্রার্থী দেব ওরফে দীপক অধিকারীকে। কেশপুরের ওই বিশাল মার্জিনের উপর ভরসা করেই দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ হিসাবে দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র পান দেব।

কিন্তু সেই প্রসঙ্গে, এদিন মিছিলের প্রথম সারিতে থাকা ভারতী ঘোষ জানান, এখানে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি, মানুষ রাগে ফুঁসছিলেন। তাঁরা কেশপুরের এই দমবন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। তাই এদিনের মিছিলে স্বতস্ফূর্ত হয়ে হাজার হাজার মানুষ মিছিলে পা মিলিয়েছেন। যদি কেশপুরের মানুষ দেবকে মেনে নিতেন তবে এত সংখ্যায় এদিনের মিছিলে সামিল হতেন না।

ঘাটাল থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভা নির্বাচনে হারতে হলেও, তিনি এলাকাতেই মাটি কামড়ে পড়ে আছেন। সাংসদ হিসাবে দেবকে সেভাবে এলাকায় দেখা না গেলেও, পরাজিত হয়েও পুরো এলাকা কার্যত চোষে ফেলছেন। আর তারফলে ক্রমশ জনভিত্তি বাড়ছে বিজেপির বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এদিন সেই প্রসঙ্গে ভারতীদেবী বলেন, পুলিশ আর তৃণমূলের গুন্ডারা কেশপুরকে কবজা করে রাখতে চাইছে, তা আর হবে না। মানুষ বেরিয়ে এসেছেন, তাই কেশপুর থেকে পিছু হঠতেই হবে তৃণমূলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!