এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আর দুদিনের মধ্যে তৃণমূল নেত্রীর মুখোশ খোলার ইঙ্গিত দিলেন সায়ন্তন বসু! ঝড় রাজ্য-রাজনীতিতে

আর দুদিনের মধ্যে তৃণমূল নেত্রীর মুখোশ খোলার ইঙ্গিত দিলেন সায়ন্তন বসু! ঝড় রাজ্য-রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই এখন রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাস থেকে শুরু করে ভয়াবহ দূর্যোগ, বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এমত পরিস্থিতিতে বিজেপির পক্ষ থেকে সংগঠনকে যেমন বাড়ানো হচ্ছে, ঠিক তেমনই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে 2021 এ ক্ষমতায় আসতে নেওয়া হচ্ছে জোর প্রস্তুতি। আর এবার চীন-ভারত সংঘর্ষে যখন গোটা ভারতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, ঠিক তখনই কংগ্রেসকে আক্রমণের পাশাপাশি তৃনমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।

প্রসঙ্গত, চীন-ভারত সংঘর্ষের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়, চীন-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি পূর্বপরিকল্পিত। আর এরই সমালোচনা করে রাহুল গান্ধীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, “তাহলে কি ভারত সরকার ঘুমোচ্ছিল! চীন-ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে, তা বিজেপি সরকারের আমলে নয়। ওনার পরিবারের লোকেরা যখন পূর্বপুরুষেরা সদস্য ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী সরকারের সদস্য ছিলেন, তখনই ঘটিয়েছিলেন। ওনারা কি ঘুমিয়ে ছিলেন, না নিদ্রামগ্ন ছিলেন! বাস্তবে দেখা গিয়েছে, চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ।”

সায়ন্তনবাবুর আরও বক্তব্য, “সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটানোর চেষ্টা করে এবং ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছে চীন। অরুণাচল প্রদেশে আগে কেউ ঢুকতে পারত না। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে অরুণাচলে রাস্তাঘাট তৈরি হচ্ছে। এটা পছন্দ করতে পারছে না চীন। এর ফলে চীনের সামরিক অর্থনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব পড়ছে। আমরা আমাদের উচিত জবাব দিয়েছি। আমাদের সেনাবাহিনীরা উচিত জবাব দিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে চিনকে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে কংগ্রেসকে আক্রমণের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে তিনি কেন্দ্রের একাধিক বৈঠক বয়কট করলেও, এবার এই বৈঠকে তিনি যোগদান করায় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছিল জল্পনা।

এদিন এই প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, “যাচ্ছেন যাক। ভালো করুক। ওনার যদি কিছু বলার থাকে বলুক। দেশবিরোধী কাজ না করাই ভালো। মানুষ তা ভালোভাবে নেবে না। চীনের পক্ষ নিয়ে যদি কেউ বলেন, সেটা মানুষ ভালোভাবে নেবে না। কিছুদিন আগেও ওনার এক সাংসদ বালাকোট নিয়ে যে বলেছিলেন যে, ব্যাপারটা স্টেজ মেকআপ। বালাকোটে যেমন ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার, যেমন ওরকম একটা ব্যবহার করেছেন, এটা সেরকমই একটা অংক। সেটা মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য নাকি তৃণমূলের বক্তব্য, জানা নেই। দুটো দিন অপেক্ষা করুন। ওনার মুখোশ খুলে যাবে। আবার তখনই আমরা আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাব।”

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সায়ন্তন বাবু এই ধরনের মন্তব্য করায় এখন রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। হঠাৎ কেন সায়ন্তন বসু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ খুলে যাওয়ার কথা বললেন! এখন তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। সব মিলিয়ে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর এই ধরনের মন্তব্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা তৈরি করল। তবে তার কথা মত এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো বক্তব্য বা কোনো পদ্ধতি রাজ্য- রাজনীতিতে ঝড় তোলে কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!