এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সায়ন্তন বসুর ঘাড়ে গেরুয়া শস্তির কড়াঘাত, রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য

সায়ন্তন বসুর ঘাড়ে গেরুয়া শস্তির কড়াঘাত, রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূল শিবিরে দেখা যেত শুদ্ধিকরণের ব্যাপক প্রভাব। অনেক সময় তৃণমূলের বিভিন্ন নেতাকর্মীকেও শুদ্ধিকরণের জেরে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে বহুবার। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবিরেও সেই ছবি দেখা গেল। সম্প্রতি তৃণমূল থেকে গেরুয়া শিবিরে বিভিন্ন নেতা যোগদান করেছেন, অনেকে আবার যোগদান করবো বলেও যোগদান করা থেকে বিরত থেকেছেন। সেরকমই একজন ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হয়ে তাঁর সঙ্গে একই দিনে তৃণমূলের সদস্য পদ ছেড়ে ঘোষণা করেন গেরুয়া শিবিরে আসার। কিন্তু রাত কাটতে না কাটতেই তাঁর সিদ্ধান্ত বদলে যায়। অন্যদিকে সেসময় সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তন বসু সহ তিন বিজেপি নেতা নিম্নরুচির মন্তব্য করেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর সেই জন্যেই এবার ওই তিন বিজেপি নেতাকে শোকজ করা হয়েছে। তবে রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অবশ্য অন্য ঘটনা।

জিতেন্দ্র তিওয়ারির দলে আসা নিয়ে সবথেকে বেশি আপত্তি জানিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয় এবং সায়ন্তন বসু। আর তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে দিলীপ ঘোষকে শাস্তির চিঠি তুলে দিতে হলো সায়ন্তন বসুর হাতে। তবে কী কারণে বা কোন মন্তব্যের জেরে এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা কিন্তু চিঠিতে কিছুই লেখা নেই। শুধুমাত্র জানা যাচ্ছে, চিঠিতে লেখা আছে 18 ই ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তন বসু অত্যন্ত কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন যা গেরুয়া শিবিরের সম্পূর্ণ বিরোধী বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আপাতত এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, তিনি অতি শীঘ্রই জবাব দেবেন এই শোকজের। সায়ন্তন বসুর পাশাপাশি শো কজের মুখোমুখি হয়েছেন নাগরাকাটা মন্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতি, আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। তিনজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে, তাঁরা দলবিরোধী স্লোগান দিয়েছেন, নিম্নরুচির কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমানে তৃণমূল থেকে এক ঝাঁক নেতা-নেত্রীরা বিজেপিতে আসার কারণে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কিন্তু ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের নিম্নস্তরের বিক্ষোভ চোখে পড়ছে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মূল লক্ষ্য রেখে গেরুয়া শিবির এখন সেসব দিকে নজর দিতেই রাজি নয়। আর তাই সায়ন্তন বসুকে শোকজের চিঠি ধরিয়ে দিয়ে গেরুয়া শিবির কিন্তু পারতপক্ষে বাংলার বিজেপি নেতাদের বার্তা দিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আপাতত সায়ন্তন বসু ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে দিকেই নজর থাকবে সবার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!