কোন পথে শিক্ষাব্যবস্থা? স্কুলগুলিতে অপ্রতুল শিক্ষকের পাশাপাশি এবার শিক্ষক শিক্ষন কেন্দ্রের করুন ছবিও উঠে এল কলকাতা রাজ্য February 11, 2019 কথায় আছে “গোদের ওপর বিষফোঁড়া।” বর্তমানে সেই রকমই অবস্থা রাজ্যের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর। একেই স্কুলে স্কুলে শিক্ষক ঘাটতির অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই যখন সরব হয়ে আসছে অনেকে, ঠিক তখনই বর্তমানে চোখের সামনে ফুটে উঠছে শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রগুলির দুরাবস্থা। কেননা এনসিটিইর নিয়মকে মান্যতা দিয়ে এই শিক্ষক শিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে যত শিক্ষক থাকার কথা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা নেই। শিক্ষা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের 62 টি সরকারি প্রশিক্ষিত কলেজে এখনও পর্যন্ত 70 শতাংশের বেশি শিক্ষক পদ শূন্য অবস্থায়ই রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এনসিটিইর নিয়ম মোতাবেক কলেজ পিছু একজন অধ্যক্ষকে নিয়ে 8 জন শিক্ষক থাকা দরকার। সেক্ষেত্রে 62 টি কলেজে 496 জন শিক্ষক থাকার কথা রয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, স্থায়ী শিক্ষক পদে রয়েছে মোট 150 জন। আর বাকি পদগুলোর ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত আসন খালি রয়েছে। যেমন কলকাতার বেলতলা সরকারি ট্রেনিং কলেজে তিনজন, পুরুলিয়া চারজন কোচবিহারে দুই জন স্থায়ী শিক্ষক রয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যের 567 টি বেসরকারি কলেজের মধ্যে বেশিরভাগ কলেজে শিক্ষক ঘাটতি চোখে পড়েছে। এনসিটিইর পক্ষ থেকে বারে বারে এই ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করা হলেও কেন এখনও পর্যন্ত স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না করে অস্থায়ী শিক্ষক দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছে? একাংশের মতে, বিগত তিন বছর কলেজে প্রশিক্ষণে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ফলে এতদিন নিয়োগ না হওয়ার কারণেই এই শূন্যপদ বাড়তে শুরু করেছে। তবে এইভাবে চলতে থাকলে এবং এই ঘটনাটি যদি এনসিটিইর কর্তাদের নজরে আসে তাহলে অতীতের মতো বেশ কিছু কলেজের অনুমোদন তাঁরা বাতিল করে দিতে পারেন বলেও মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে এবার অপ্রতুল শিক্ষকের পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষন কেন্দ্রের করুন ছবিও উঠে এল এরাজ্যে। আপনার মতামত জানান -