এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা হলেও সংক্রমণের আশঙ্কা কতটা থাকছে? কি বলছেন চিকিৎসকরা?

স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা হলেও সংক্রমণের আশঙ্কা কতটা থাকছে? কি বলছেন চিকিৎসকরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দীর্ঘ সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন গতকাল, আগামী 16 নভেম্বর থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ খুলে যেতে চলেছে। 2020 শুরু থেকে দীর্ঘসময় ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে রয়েছে করোনার কারণে। মাঝে অবশ্য কিছুদিনের জন্য স্কুল-কলেজ খোলা হলেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ওঠার কারণে আরও একবার বন্ধ হয়ে যায় স্কুল-কলেজগুলি। তারপর থেকে এতদিন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। যদিও অনলাইনে যাবতীয় পরীক্ষাগ্রহণ হয়েছে, ক্লাসও নিয়মিত চলছে। কিন্তু সব জায়গায়, সব পরিবারের পক্ষে অনলাইন পরিকাঠামো পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই ক্রমশ স্কুল কলেজ খোলার দাবি জোরালো হচ্ছিল।

পুজোর আগেই নবান্ন থেকে জানানো হয়েছিল, সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণে আসে তাহলে পুজোর পরে স্কুল খোলা হবে। মনে করা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর দু’বছর পরে স্কুল-কলেজ খুলতে চলেছে। স্কুল খুললেও অবশ্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস হবে। যদিও আশঙ্কা কিন্তু এখনো থাকছে। কারণ নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কিন্তু এখনো টিকাকরণ হয়নি। অন্যদিকে দুর্গাপুজোর পর থেকে রাজ্যে কিন্তু আরো একবার করোনার প্রকোপ বাড়তে দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী জানা গিয়েছে গত 24 ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 805 জন। যদিও চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে কিন্তু এখনো যথেষ্ট সাবধান বাণী দেওয়া হচ্ছে।

স্কুল কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি সাফসুতরো করা শুরু হয়েছে। সেগুলোকে স্যানিটাইজ করার ঘোষণা কালকেই করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন শুধুমাত্র একদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি স্যানিটাইজ করলে চলবেনা। প্রতিনিয়ত স্কুলল এবং কলেজে জীবাণুনাশক ছড়াতে হবে। দীর্ঘ সময় স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার দরুণ খুব স্বাভাবিকভাবেই ছাত্র-ছাত্রীদের মনের ওপর এর প্রভাব পড়েছিল। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন খোলা হচ্ছে সেটা যেমন ঠিক, সেরকমই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতেই হবে। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি চিন্তা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের টিকাকরণ হলেও স্কুলপড়ুয়াদের কিন্তু টিকাকরণ হয়নি। সে ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা হেতু প্রতিটি পড়ুয়ার বাবা-মার দুটি টিকার ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল বাস থেকে শুরু করে পুল কার চালক, স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী, সাধারণ কর্মী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও টিকার দুটি ডোজ থাকতেই হবে। একইসাথে বলা হচ্ছে, এবার থেকে স্কুলে নিয়মিত প্রতিদিন করোনা সচেতনতা নিয়ে ক্লাস রাখতে হবে। পাশাপাশি প্রত্যেককে স্কুল-কলেজে মাস্ক পড়ে থাকতে হবে সব সময়। সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্লাসেও দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। পড়ুয়াদের সংখ্যা অনুযায়ী বিকল্প দিন ভাগ করে রুটিন দিতে হবে।

স্কুল শুরু হলেও এবার থেকে টিফিন পিরিয়ড বা খেলার পিরিয়ড রাখা চলবেনা। তার কারণ এই দুটি সময়ে মেলামেশার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। পাশাপাশি যদি কোনো ছাত্রের বা ছাত্রীর ন্যূনতম উপসর্গ দেখা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শারিরীক পরীক্ষা করতে হবে। যদি করোনা পজিটিভ হয়, তাহলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে অবশ্যই। সবমিলিয়ে স্কুল খোলার ঘোষণা হলেও দুশ্চিন্তা কিন্তু এখনো কাটছে না। রাজ্যে দুর্গাপুজোর পর এমনিতেই সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় স্কুল খোলা ঠিক হলো কিনা তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই মেতে উঠেছে তার্কিকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!