এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > স্কুল খুললেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিলতে চলছে বড়সড় ‘উপহার’! বরাদ্দ হল প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা

স্কুল খুললেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিলতে চলছে বড়সড় ‘উপহার’! বরাদ্দ হল প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি টাকা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন করোনার কারণে রাজ্যের প্রত্যেকটি স্কুল বন্ধ থাকার পর এবার স্কুল চালু নিয়েও রাজ্য সরকার তদারকি শুরু করেছে। এবং সেই শুরুতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল একটি দুর্দান্ত খবর। জানা যাচ্ছে, স্কুল খুললেই এবার স্কুলশিক্ষার্থীরা পেতে চলেছেন বিনামূল্যে স্কুল ইউনিফর্ম। এই সুযোগটি আপাতত শুধুমাত্র হুগলি জেলার জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে। আপাতত হুগলি জেলার স্কুলশিক্ষার্থীরা স্কুল খুললে দুটি করে ইউনিফর্মের সেট হাতে পাবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, প্রি-প্রাইমারি থেকে অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা এই সুযোগ পেতে চলেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার স্কুলের পোশাক খাতে 30 কোটি 47 লাখ 48 হাজার 400 টাকা বরাদ্দ করেছে বলে খবর। প্রত্যেক শিক্ষার্থী পিছু 600 টাকা করে বরাদ্দ হয়েছে। আপাতত স্কুল খোলার পরিকল্পনা কার্যকর হতে পারে, এই রকম পরিস্থিতি আসামাত্রই সর্বশিক্ষা মিশন কর্তৃপক্ষ নতুন প্রকল্প রূপায়ণের জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। 2019 সালে এই প্রকল্পের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানা যায়।

সেসময় রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে অক্সিজেন জোগানোর জন্য স্কুলের পোশাক তৈরি ও সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। হুগলী জেলাতেও সেই দায়িত্ব স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি পেয়েছে বলে জানা গেছে। করোনা আবহে আপাতত প্রশাসনের নির্দেশে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে মাপ নিয়ে স্কুলের পোশাক বানানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় জানিয়েছেন যদিও স্কুলের পোশাক, কিন্তু পুজোয় নতুন পোশাক হওয়া খুব স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাংলার পড়ুয়াদের আকর্ষণ বাড়াবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি পোশাক ঠিকঠাক করার জন্য প্রশাসন যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে দাবী করা হচ্ছে। অন্যদিকে সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির 47 টি সার্কেলের পড়ুয়ারা এই পোশাক পাবে। এই 47 টি সার্কেলের পড়ুয়া সংখ্যা হল 5 লক্ষ 60 হাজার 914 জন। তবে জানা গেছে, প্রি প্রাইমারি ছাত্র ছাত্রীদের পোশাকের জন্য আলাদা করে ইউনিফর্ম গ্রান্ট দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। ফলে একই শিক্ষার্থী যাতে দুবার পোশাক না পায়, সে ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলা হয়েছে।

গোটা ব্যাপারটি পরিচালনা করবেন গ্রামীণ এলাকায় বিডিও এবং শহর এলাকায় এসডিও। অন্যদিকে স্কুল ইউনিফর্ম নিয়ে সর্বশিক্ষা মিশন নির্দেশ দিয়েছে সব স্কুলের পোশাক সরবরাহকারীদের অবশ্যই আইএসও 9001:2015 শংসাপত্র যুক্ত কাপড় সরবরাহ করতে হবে এবং তার জন্য যাবতীয় নথি জমা দিতে হবে। সর্বোপরি সরকারি মিশনে যারা কাজ করেন তাঁদেরকেই এই পোষাক তৈরীর কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রকল্প মুখে হাসি ফোটাতে চলেছে বহু স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং গ্রামীণ প্রকল্পের বহু দর্জির মুখে।

অন্যদিকে রাজ্য সরকারের ইউনিফর্ম প্রকল্প নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা রাজনৈতিক মহলে। বিরোধী শিবিরের অনেকেই বলছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এই প্রকল্প রূপায়ণ করার একটাই কারণ- জনগণের মনে তৃণমূল সরকারের জনমোহিনী রূপ তুলে ধরা। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, স্কুল ইউনিফর্ম প্রকল্পটি শুধুমাত্র হুগলি জেলার জন্য না করে সারা বাংলার জন্য হলে বেশি কার্যকর হতো। অন্যদিকে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে হুগলী জেলাতে এই প্রকল্প চালু হলেও ধীরে ধীরে রাজ্যের সর্বত্র এই প্রকল্পের আওতায় আসবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!