এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের শুরু স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের সংঘাত, জেনে নিন

ফের শুরু স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবকদের সংঘাত, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন এবং অসংখ্য মানুষের কর্মহীনতার কথা ভেবে কোর্ট রায় দিয়েছিল যে,স্কুলগুলিতে ২০ শতাংশ টিউশন ফি মকুব করতে হবে এবং non-academic ফি নেওয়া চলবে না। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে কলকাতার বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুলগুলি। সেখানেও সুপ্রিম কোর্টও তাদের আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দেয় ফি সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট কোন হস্তক্ষেপ করবে না।

তারপর জানা যায় কলকাতা সহ রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলি রিভাইজড ফি স্ট্রাকচার তৈরি করছে। তাতে ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে পরিবর্তিত ফি স্ট্রাকচার করার কথা বলা হলেও অনেক স্কুলই ওই সময় সীমার মধ্যে রিভাইসড ফি স্ট্রাকচার করছে না বলেও অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন সেইসময়। যদিও এরপর বেশ কয়েকটি স্কুলকে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পরিবর্তিত ফি স্ট্রাকচার করে অভিভাবকদের কাছ থেকে পুনরায় ফি নেওয়ার প্রক্রিয়া করতে দেখা গেছে।

তবে তার মধ্যেই আবারও অভিভাবক অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যরা, হাইকোর্টের নির্দেশ না মানার অভিযোগ তুলে প্রায় আন্দোলনে নামতে ফের শুরু করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গেছে, ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া ফি না দিতে পারলে ৮ই ডিসেম্বরের পর থেকে কোনো পড়ুয়া ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেই জানিয়েছে লা মার্টিনিয়ার স্কুল কর্তৃপক্ষ। বুধবার থেকে এমনই নোটিস অভিভাবকদের ইমেল করে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।

তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই তাঁরা অভিভাবকদের এমন ইমেল করেছেন। এই প্রসঙ্গে লা মার্টিনিয়ার স্কুলের সেক্রেটারি জানিয়েছেন “হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে সেই অনুযায়ী আমরা ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া ফি দিতে বলেছি। এই সময়সীমার মধ্যে যদি কেউ বকেয়া ফি না দিতে পারে তাহলে ৮ ডিসেম্বরের পর থেকে ক্লাসে অংশগ্রহণের সুযোগ তাকে নাও দেওয়া হতে পারে। আমরা যে নোটিসটি দিয়েছি তা পুরোটাই হাইকোর্টের মোতাবেক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষের মতে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ফি বকেয়া রয়েছে। তবে শুধুমাত্র লকডাউনের সময় থেকেই নয়, লকডাউনের অনেক আগে থেকেই অনেক অভিভাবক ফি দেয়নি। তাই অভিভাবকদের ইমেল করে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক লা মার্টিনিয়ার স্কুল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই রিভাইজড ফি স্ট্রাকচারও করেছে বলে জানিয়েছে।

আর সেই রিভাইজড ফি স্ট্রাকচার অনুযায়ী নাকি অভিভাবকদের বকেয়া ফি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শুধু লা মার্টিনিয়ার স্কুলই নয়, কলকাতার বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুলও এমনটাই করবে বলে জানা গেছে। সেখানে ইতিমধ্যেই সাউথ পয়েন্টের তরফে অভিভাবকদের হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কি কি করনীয় সেই প্রসঙ্গে বিস্তারিত-নোটিস পাঠানো হয়েছে বলেও জানান হয়েছে।

বস্তুত, কালীপুজোর পরেই আরও বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল এই কাজই করবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে ইউনাইটেড গার্জেন অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আজই শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে ডেপুটেশন ও অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী রিভাইজড ফি স্ট্রাকচার ও non-academic ফি নেওয়ার ব্যাপারে একাধিক বেসরকারি স্কুল এতদিন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলেই অভিযোগ করা হয়েছে।

সেইসঙ্গে অনেক স্কুলই হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না বলেও সরব হয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত অনেক অভিভাবক। আর সেক্ষেত্রে ইউনাইটেড গার্জেন অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে যে, “অনেক স্কুলই হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না। রিভাইজড ফি স্ট্রাকচার করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই অনেকগুলি নানান রকম গরিমশি করছেন। আমরা এই বিষয়গুলি নিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতর ও রাজ্য সরকারের কাছেও ডেপুটেশন দেব।” তবে পরবর্তীকালে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিতেও দেখা গেছে তাঁদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!