এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > স্কুলের মেনু দেখে হতবাক মুখ্যমন্ত্রী, তুললেন প্রশ্ন

স্কুলের মেনু দেখে হতবাক মুখ্যমন্ত্রী, তুললেন প্রশ্ন

সম্প্রতি চুঁচুড়া স্কুলের মিড ডে মিল খাওয়াকে ঘিরে যে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছিল, তার নজর কেড়েছিল গোটা রাজ্যের মেনুতে। নুন, ভাত দেখে অনেকেই এই ধরনের ঘটনাকে ধিক্কার জানাতে থাকে। আর এই ঘটনার পরই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের নির্দিষ্ট মেনু বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মেনুকে অনুকরণ করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলাশাসকের তবে একাধিক পথ চালু করার বিজ্ঞপ্তিও চালু করা হয়।

সেক্ষেত্রে তাদের নতুন মেনুতে ছিল, ডিম, সোয়াবিন, মুরগির মাংসের মত উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবার। কিন্তু এই মেনু দেখে অবাক হয়ে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত সোমবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকে তার প্রশ্ন, “সংবাদমাধ্যমে লিখে দেওয়া হচ্ছে, মিড ডে মিলে নাকি 7 দিনে 7 রকমের পদ হবে। এটা কি ঠিক? আমিই জানি না, ওরা লিখে দিচ্ছে।”

এরপরই তিনি মুখ্যসচিবকে পাশে নিয়ে বলেন, “মিড ডে মিলে আমরা পড়ুয়াদের পিছু 4 টাকা 31 পয়সা করে পাই।” তারপরে প্রশ্ন করেন, “একটা ডিমের দাম কত টাকা! এরপর আরও চুলচেরা হিসেব-নিকেশ নিজেই করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 4 ঢাকা 31 পয়সায় ভালো করে ডাল-ভাতই হয় না। তো ডিম! আমি বলছি, মিড ডে মিলে ডাল-ভাত আর একটা তরকারি পেট ভরে খাওয়ার ব্যবস্থা করুন।”

সম্প্রতি হুগলির বাণীমন্দির প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলে একটি জটিলতা তৈরি হয়েছিল ।যাকে কেন্দ্র করে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় গত সপ্তাহে একদিন ওই স্কুলে গিয়ে দেখেন, গত সপ্তাহে ওই স্কুলে গিয়ে সকলে দেখেন, ছাত্রছাত্রীরা নুন দিয়ে ভাত খাচ্ছে। তারপরেই এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল ওঠে সমগ্র রাজ্যজুড়ে। যার জেরেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে অবতীর্ণ হতে হয় রত্নাকর রাওকে। তিনি নিজে কয়েকদিনের মধ্যেই স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসে ডিম ভাত খেয়ে আসেন। এরপরই এই কথা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, হুগলি শুরু করে সমগ্র রাজ্যের ক্ষেত্রেই নাকি মিড ডে মিলের মেনু বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। আর সেই মেনু সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলা হচ্ছে, সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস, দুধ, ডিম দেওয়া হবে। আর এর পরের দিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও মিড ডে মিলের মেনু বদলে দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে দুই জেলাশাসকের স্বাক্ষর ছিল বলে সূত্রের খবর। এখন সকলের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রী অগোচরেই কি জেলাশাসকেরা মেনু পাল্টে দিয়েছিলেন! যদিও এই ব্যাপারে যথেষ্ট ভালোভাবে মন্তব্য করেন রত্নাকর পান্ডে। তিনি বলেন, শিশুদের প্রোটিন খাবার দিতে হবে। তো ডিম যদি না দেওয়া যায়, তাহলে সোয়াবিন দিতে হবে।” এই জন্য যে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে অনুমতি লাগে তা নিয়ে কিছু জানেন না জেলাশাসক।

তবে মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার জন্য সরকারের বিশেষ অনুমোদন প্রয়োজন। আর এই জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে অনুমতি লাগে তা কি জানেন না জেলা সমাহর্তা! সবকিছু মিলিয়ে মিড ডে মিলের ব্যাপারে যে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে সকলের মনে আশা, স্কুলে গিয়ে একবেলা যে, ভাত পাওয়া যায় সেটাও অনেক গরীব ছেলে মেয়েদের কাছে মহার্ঘ। তাই আগামী দিনে খাবারের ক্ষেত্রে নুন-ভাতের দৃশ্য চোখে পড়ে কিনা, আর এইসব ব্যাপারে এখন সামগ্রিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!