এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > স্কুল ব্যবহার নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক সংগঠন, জেনে নিন বিস্তারিত

স্কুল ব্যবহার নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নয়া নির্দেশিকায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক সংগঠন, জেনে নিন বিস্তারিত

শিক্ষার জন্যই বিদ্যালয়। আর তাই এই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্যেই তা ব্যবহার করা যাবে না বলেই এবার রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং বিভিন্ন জেলার জেলা পরিদর্শককে এক নির্দেশিকা পাঠালেন রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন। কিন্তু হঠাৎ কেন এহেন সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দপ্তর?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ই শোনা যায় যে স্কুল ছুটির দিনে বিভিন্ন বিদ্যালয়কে নানা অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করে বহু সংস্থা। যার ফলে বিদ্যালয়গুলির যে মূল উদ্দেশ্য সেই উদ্দেশ্য থেকে ব্যাঘাত ঘটছে বলে মনে করছেন সরকার। সম্প্রতি হাওড়ার একটি স্কুলে বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠানের ঘটনা প্রকাশ্যে আসাতেই তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যকে। আর এই ঘটনার পরই স্কুলগুলিতে অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলে এহেন নির্দেশিকা রাজ্যের বলে মত অভিজ্ঞমহলের।

কিন্তু শুধুমাত্র এই অনুষ্ঠান নয়, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য এই স্কুলগুলিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাহলে সেক্ষেত্রেও এই স্কুলগুলিকে আর ব্যবহার করা যাবে না? যদিও সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকা মোতাবেক জানা গেছে, স্কুলে কোনো রকম অনুষ্ঠান করতে হলে প্রথমে জেলা পরিদর্শকের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

পরে সেই আবেদনপত্র জেলা পরিষদ রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠাবে। আর তারপরই রাজ্যের শিক্ষা দফতর সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু সরকারের এহেন নির্দেশিকায় অনেকে খুশি হলেও এই ব্যাপারে তীব্র আপত্তি জানাতে শুরু করেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি।

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, “ছুটির পর স্কুলের ভবন ব্যবহার করার ওপর নিষেধাজ্ঞা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটা আখেরে স্কুলগুলির ওপর খবরদারি করা হচ্ছে। আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাব।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেন, “বিগত বাম আমলে কখনোই এমন নির্দেশিকা বের করা হয়নি। কেননা তখন গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু এই সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করে সরাসরি বিদ্যালয়ের স্বাধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে।”

সব মিলিয়ে এবার পড়াশুনো ছাড়া আর অন্যান্য কাজে স্কুলকে ব্যবহার করতে গেলে রাজ্য স্কুল দপ্তরের অনুমতি নেওয়ার নির্দেশিকায় প্রবল চাপানউতোর শুরু হয়েছে শিক্ষা মহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!