এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > ‘স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খারিজ করা উচিত’ ভর্ৎসনা আদালতের, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাকফুটে রাজ্য!

‘স্কুল সার্ভিস কমিশনকে খারিজ করা উচিত’ ভর্ৎসনা আদালতের, নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাকফুটে রাজ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে পুজোর আগে এবং পরে মোট 32 হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানিয়ে দেন তিনি। আর এরপরই চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় আশার আলো। তবে প্রথম থেকেই  উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইন্টারভিউ এবং মেরিট তালিকা নিয়ে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। সেই মত করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়েছিল মামলা। যার জেরে ইতিমধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।

আর এই ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে সরাসরি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকদের ভর্ৎসনা করতে দেখা গেল আদালতকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্য সরকার যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করা হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। বিচারপতি বলেন, “স্কুল সার্ভিস কমিশন অপদার্থ। কোন আধিকারিকরা কমিশন চালাচ্ছেন! এই কমিশনকে অবিলম্বে খারিজ করে দেওয়া উচিত। 2019 এর অক্টোবরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তা কেন মানা হয়নি? নির্দেশ মেনে কেন ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করা হয়নি? পাঁচ বছরে কমিশন নিয়োগ করতে পারেনি। তাই এই কমিশনকে বরখাস্ত করা উচিত।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, সম্প্রতি  উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকেই সেই ইন্টারভিউয়ের তালিকা নিয়ে নানা মহলের তরফ থেকে উঠতে শুরু করে প্রশ্ন। যেখানে ইন্টারভিউয়ের তালিকা দেওয়া হলেও, চাকরিপ্রার্থীরা কে কত নম্বর পেয়েছে, তার তালিকা সামনে না আসায় অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করেন। আর তারপরেই মামলা হলে আদালতের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। আর এবার সরাসরি এই ব্যাপারে স্কুল সার্ভিস কমিশন কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষ করে চেয়ারম্যানকে তলব করা হল।

একাংশ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। কিন্তু সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে এই ব্যাপারে আশার আলো তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই আদালতের দরজায় চলে যায় গোটা বিষয়টি। যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে মেরিট তালিকা এবং প্রাপ্ত নম্বর দেওয়া হলেই কেউ আদালতের দরজায় যেত না বলেই দাবি করছেন একাংশ। কিন্তু এখানে সরকারের খামতি থাকার কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অনেকে। যার ফলে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে।

আর এবার সেই গোটা ব্যাপারে সরকারের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেল। যেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে আদালতের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানকে তলব করা হল। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের অস্বস্তি যে আরও দীর্ঘায়িত হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে আদালতের নির্দেশ মত স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে কি বিবৃতি দেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!