স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল নিউজ পোর্টালগুলির উপর ‘রাশ’ টানছে কেন্দ্র? নির্দেশিকা ঘিরে জল্পনা! জাতীয় November 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের সমস্ত নিউজ পোর্টাল ও ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোভাইডার সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এক বিশেষ আইন আনা হলো কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এখন থেকে দেশের নিউজ পোর্টাল ও ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোভাইডার সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের অধীনস্থ হবে। গত সোমবার এ বিষয়ে একটি বিশেষ বিবৃতি প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। প্রসঙ্গত দেশের সংবাদ মাধ্যমের তুলনায় দেশের ডিজিটাল মিডিয়া অনেকটাই নবীন। যেখানে, প্রিন্ট মিডিয়া ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো, সেখানে ডিজিটাল মিডিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে একুশ শতকের গোড়া থেকে। ১৭৮০ সালে প্রথম কলকাতা থেকে বেঙ্গল বেঙ্গল গেজেটি নামের একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিলেন জনৈক ইংরেজ জেমস অগাস্টাস হিকি। এরপর ওই শতকেই ইন্ডিয়া গেজেটি, ক্যালকাটা গেজেটি, দি ম্যাড্রাস কুরিয়ার, দি বম্বে হেরাল্ড নামে কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে শুরু করে। সেই থেকেই যাত্রা শুরু প্রিন্ট মিডিয়ার। তবে, ডিজিটাল মিডিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে অনেক পরে। সাধারণত ২০০০ সালের পর থেকে প্রথম দেশে ডিজিটাল মিডিয়ার যাত্রা শুরু হয়। সেসময় অনলাইন ও ডিজিটাল পাবলিশিং এর জন্য একাধিক সংস্থা তৈরি হতে থাকে। প্রথমে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রিকার ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই প্রসার ঘটে ডিজিটাল মিডিয়ার। সম্প্রতি দেশে এমন কিছু সংস্থা আছে, যাদের কোন প্রিন্ট মিডিয়া নেই। তারা ডিজিটাল মাধ্যমেই সংবাদ অন্যান্য বিষয় পরিবেশন করে থাকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত প্রিন্ট মিডিয়া বা সংবাদপত্রের উপরে প্রেস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া নজরদারি করে থাকে। অন্যদিকে দেশের নিউজ চ্যানেল গুলির উপরে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন নজরদারি করে। আবার বিভিন্ন চ্যানেলের বিজ্ঞাপনের ওপর নজরদারি করে অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া। সিনেমার ওপর নজরদারি করে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন। এবার ডিজিটাল মিডিয়াকে কোনো স্বশাসিত সংস্থার অধীনস্থ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে এক বিশেষ আবেদন করা হয়েছিল। এই আবেদনের পর, গত অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এ বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চেয়েছিল। সুপ্রিমকোর্ট এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক এবং ব্রডকাস্টিং অ্যান্ড ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনকে নোটিস পাঠিয়েছিল। আবার, সুপ্রিমকোর্টে জমা পড়া এক পিটিশনে বলা হয়েছিল যে, ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফিল্ম মেকার ও শিল্পীদের বিশেষ সুবিধা করে দিচ্ছে। এর ফলে সেন্সর বোর্ডের হাত থেকে খুব সহজেই রেহাই পেয়ে যাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে আরও একটি মামলায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সুপ্রিমকোর্টকে জানিয়েছিল যে, ডিজিটাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে ডিজিটাল মিডিয়ায় মাধ্যমে ঘৃণার প্রচার রোধ করতে সরকারের বিশেষ গাইডলাইন আনা প্রয়োজন। এর পূর্বে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকেই এ বিষয়ে নজরদারির জন্য একটি কমিটি গড়ার কথা জানানো হয়। আবার, গত ২০১৯ সালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছিলেন যে, তিনি এমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না, যাতে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয়ে পরে। তবে তিনি এটাও জানিয়ে ছিলেন যে, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মত ডিজিটাল মিডিয়ার উপরেও সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকার প্রয়োজন আছে। আপনার মতামত জানান -