এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সাধের যোগদান মেলায় কি বিজেপির ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারণ? আত্মসমীক্ষায় উঠে এল বড় প্রশ্ন

সাধের যোগদান মেলায় কি বিজেপির ভরাডুবির অন্যতম প্রধান কারণ? আত্মসমীক্ষায় উঠে এল বড় প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকেই বারবার যোগদান মেলা অনুষ্ঠিত করেছে বিজেপি। তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেসের বহু নেতাকর্মী যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। বারবার যোগদান মেলা অনুষ্ঠিত করে বলা যেতে পারে, চমক লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলে যেভাবে ভাঙ্গন শুরু হয়েছিল, তাতে তৃণমূলের ফিরে আসা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বারবার যোগদান মেলাই গলার কাঁটা হয়ে ভরাডুবি ঘটাল বিজেপির।

বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বড়োসড়ো বিপর্যয়ের পর, এর কারণ বিশ্লেষণ করতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। পরাজয়ের একাধিক কারণ সামনে উঠে আসতে শুরু করেছে। যার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো তৃণমূল ত্যাগীদের আকুণ্ঠ ভাবে বিজেপিতে নিয়ে আসা। শুধু তৃণমূল নয়, সিপিএম, কংগ্রেস থেকে বহু দল ত্যাগীদের আনা হয়েছিল বিজেপিতে।

যাদের উপর বিশেষভাবে আস্থা রেখেছিল গেরুয়া শিবির। অন্য দল থেকে আসা মোট ৩৪ জনকে বিজেপি প্রার্থী করেছিল। যাদের মধ্যে ২৮ জন ছিলেন তৃণমূলের, ৫ জন ছিলেন সিপিএমের, একজন ছিলেন কংগ্রেসের। কিন্তু অন্য দল থেকে আসা এই প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের মুখ দেখতে পেয়েছেন মাত্র ৫ জন। শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে ২৯ জন হেভিওয়েট প্রার্থীর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দেখা যাচ্ছে, অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে আসা প্রার্থীদের মধ্যে জয়ের মুখ দেখেছেন শুভেন্দু অধিকারী, মিহির গোস্বামী, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়, তাপসী মন্ডল, শংকর ঘোষ প্রমুখরা। বাকি ২৯ জন প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে পরাজয় এসেছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তীর মত হেভিওয়েট প্রার্থীদের। যা নানা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, দল ত্যাগীদের উপর অধিক নির্ভরতাই কি ডুবিয়েছে দলকে? শাখা সংগঠন আরএসএসও এমন প্রশ্ন তুলেছে।

আরএসএস প্রথম থেকেই যোগদান মেলার বিরোধিতা করে এসেছিল। বিজেপির পরাজয়ের পর আরএসএস এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, যাদের সঙ্গে লড়াই, তাদের দল থেকে আসা নেতাদের উপর অধিক নির্ভরতার কারণে দলের এই পরাজয় ঘটেছে। কিন্তু, গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলে ভাঙ্গন ঘটিয়ে বিজেপির কিন্তু যথেষ্ট ভালো ফল হয়েছিল। এবারের নির্বাচনেও এই কৌশল কাজে আসবে বলে, আশা ছিল বিজেপির। কিন্তু বিজেপির সে আশা পূরণ হয়নি।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দল ত্যাগীদের নিয়ে রাজনীতি রাজ্যের মানুষের পছন্দ নয়। ভাড়াটে সৈন্যদের উপরে নির্ভর করে যে যুদ্ধে জেতা যায় না, সে শিক্ষাই বিজেপিকে দিয়েছেন রাজ্যবাসী। দল ত্যাগীদের এনে দলের কলেবর বৃদ্ধি করা যায়, কিন্তু নির্বাচনে যে সফলতা আসে না। এ কথাই চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। বারবার তৃণমূল ভাঙার প্রচেষ্টাকে কিছুতেই ভালো চোখে দেখেননি রাজ্যবাসী, এমনটাই একাধিক বিশ্লেষকদের ধারণা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!