এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > সেনাবাহিনীর মানবিক রূপ দেখা গেল সীমান্তে,জেনে নিন বিস্তারিত

সেনাবাহিনীর মানবিক রূপ দেখা গেল সীমান্তে,জেনে নিন বিস্তারিত

দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করার জন্য দেশব্যাপী 21 দিনের লকডাউন জারি করেছেন। সেই লকডাউন আজ পড়ল সপ্তম দিনে। লকডাউন এর জেরে সারা দেশব্যাপী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই মুহূর্তে করোনা আতঙ্কে ত্রস্ত মানবজাতি। বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। করোনার সংক্রমণকে আটকানোর জন্য লকডাউন ছাড়া আর কোনো রাস্তা ছিল না বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

কিন্তু এই লকডাউন এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য সীমান্ত। যার জেরে বিভিন্ন সীমান্তে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক। এইসবগুলির মধ্যে কোনটি হয়তো অন্য কোন দেশের, আবার কোনোটি হয়তো অন্য কোন রাজ্যের। লকডাউন অবস্থায় সীমান্তে থাকাকালীন ঐ ট্রাক ড্রাইভার ও খালাসীরা চরম সংকটে পড়েছিলেন বলেই মনে করছিলেন। কিন্তু এই অবস্থায় তাঁদের উদ্ধারকর্তা হয়ে এগিয়ে এসেছেন বিএসএফ জওয়ানরা। সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাক ড্রাইভার ও খালাসীদের খাবার সরবরাহ হচ্ছে বিএসএফ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্যান্টিন থেকে। কোনদিন সেখানে রান্না হচ্ছে খিচুড়ি, কোনদিন ডাল, ভাত, সবজি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেগুলি পৌঁছে দিয়ে আসছেন জওয়ানরা আটকে পড়া ট্রাক চালক এবং খালাসিদের কাছে। এ প্রসঙ্গে 153 নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার প্রদীপ কুমার জানিয়েছেন, ”এই আটকে পড়া ট্রাক চালকদের খাবারের কোনও ব্যবস্থা এই মুহূর্তে এখানে নেই। কারণ খাবারের হোটেল সব বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে তাই আমরা নিজেরা রান্না করে এই ট্রাক টালকদের খাবার খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে বসিরহাট সীমান্তে প্রায় পাঁচ হাজার ট্রাকচালক ও খালাসি উপস্থিত রয়েছেন। বিএসএফ জওয়ানরা যেভাবে তাঁদের ক্ষুধা নিবৃত্তির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাতে আপ্লুত আটকজনেরা।

ওই ট্রাকচালকরা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, বিএসএফ জওয়ানরা যদি না তাঁদের খাবার দিতেন, তাহলে তাঁদের অনাহারে দিন কাটাতে হতো। এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণকে আটকানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কেন্দ্রসহ রাজ্য সরকারগুলি। করোনার জেরে মৃত্যুকে ঠেকাতেই লকডাউন এর পরিকল্পনা। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, সচেতন ও সতর্কতার দ্বারাই করোনা কে দূর করা সম্ভব হবে। না হলে তিলেতিলে মরা ছাড়া আর কোন গতি নেই। আপাতত দেশের জনগণ ও দেশের সরকার একযোগে ভারতবর্ষকে করোনা মুক্ত করার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। আর সেই লড়াই জেতার প্রার্থনায় আকুল ভারতবাস।।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!