শেষ বেলায় – অনুগল্প – কলমে – অপরাজিতা অন্যান্য অপরাজিতা গল্পে-আড্ডায় May 4, 2020 কাল রাত্রেই বিয়ে হয়েছে জয়দীপ আর জয়িতার। রণদীপের সঙ্গে জয়িতার প্রেম সেই কলেজ থেকে। কিন্তু জয়দীপের মায়ের জয়িতাকে পছন্দ হলেও বাবার, দিদি, জামাইবাবুর খুব একটা পছন্দ ছিল না জয়িতাকে কারণ কেউ জানে না।এই মেয়ের সাথে কিছুতেই বিয়েতে রাজি হচ্ছিলেন না তাঁরা। এদিকে বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে, ছেলে জয়িতা ছাড়া কাউকে বিয়ে করবে না। অনেক বুঝিয়েও কাজ হয়নি,অন্য মেয়ের ফটো দেখিয়েও , না রাজি হয়নি জয়দীপ। ছেলে নাছোড়বান্দা। অনেক কান্ড করে তবে বিয়ে হয়েছে। গতকাল রাত্রেও বিয়ে দিতে গিয়ে জয়দীপের দিদি অনেকে হাঙ্গামা করেছে, এই হার দেয়নি ছেলেকে আশীর্বাদে, আর বেনারসি তেমন ভালো নয়। বাড়ির অন্যরা পরিস্থিতি সামলেছে। অনেক হ্যাপা পেরিয়ে তবে বিয়ে হয়েছে। এখন আবার কি হলো? দরজার সামনে এনে রেখে দিয়েছে সেই থেকে, বরণ করে ঘরে তুলবে তো। আশ্চর্য্য।…. দিদি চিৎকার করে কাঁদছে , কেন যে এই মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া হলো, এই মেয়ে অপয়া।সবাই থামাচ্ছে দিদিকে। জয়দীপ রেগে দিদিকে কিছু বলতে যাচ্ছিলো জয়িতা হাতটা চেপে ধরে মানা করলো। বাবা মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।বাবার কাছেও অনেকে বসে আছে। এদিকে গোটা বাড়িতেই চাপা একটা কষ্ট। মা, মা গেলো কোথায়? দিদিকে জিজ্ঞাসা করলো জয়দীপ, কোথায় কি ? সে কেঁদেই যাচ্ছে, আর জয়িতাকে যা মুখে আসছে তাই বলে শাপ শাপান্ত করে যাচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মাকে দেখতে পাচ্ছি না কেন? বরণ করবে তো? মার্ কিছু হয়নি তো? – চেঁচিয়ে উঠলো – জয়দীপ। কেউ কোনো সাড়া দিচ্ছে না। জয়িতাও এদিকে কাঁদছে। কাদঁবেই স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে কি আর করবে। ছি ছি জয়দীপ ওদের বিবাহিত যোবনের কত স্বপ্নই না দেখিয়েছিলো জয়িতাকে। বই পেয়েছিলো জয়িতা ,জয়দীপের বাড়ি থেকে ওকে মানতে চাইনি বলে। আস্বস্ত করেছিল জয়দীপ। কিন্তু একী? না আর ভালো লাগছে না। মা মা বলে ডাক দিলো জয়দীপ। কিছুক্ষন পরেই লালপেড়ে সাদা শাড়ী পরে বরণডালা নিয়ে মা এলো। এই তো এসে গেছি। একটু দেরি হয়ে গেলো , আর একটু আগে ডাকবি তো জয়দীপকে বললেন ওর মা। আর ভয় কি? কেঁদোনা মা আমি আছি তো তোমাদের সাথে। ওরা যা বলে বলুক। জয়িতাকে বললেন জয়দীপের মা। জয়িতার মুখেও হাসি ফুটলো। দিদিভাই, জ্যাঠিমা আর নেই। – জয়দীপের কাকার মেয়ে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বললো। উফফ কি যে করে না, এই শুভ অনুষ্ঠানে যত সব – রাগ করলেন জয়দীপের মা। কিছুক্ষন পরে, জয়দীপ, জয়িতার পাশে ওর মায়ের নিথর দেহটাও নামিয়ে রাখা হলো। আজ যখন বর কোনে আসছিলো, একটা লরি ধাক্কা মারে গাড়িটাকে। সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় জয়দীপ আর জয়িতা। বাড়ির সামনে সেই নিথর দেহদুটোই এতক্ষন নামানো ছিল। খবর শুনে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন জয়দীপের মা , আর এখন তিনিও ………………………………. আপনার মতামত জানান -