প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল অষ্টম দফার নির্বাচনের দিনে বীরভূম জেলার একাধিক স্থানে বারবার অশান্তি, সংঘর্ষ দেখা দিয়েছিল। গতকাল রাতেও বীরভূম জেলার নানুরের বন্দর গ্রামে আবার দেখা দিল তীব্র সংঘর্ষ। গতকাল নির্বাচন শেষ হয়ে যাবার পর বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বাড়ির সামনে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।

নির্বাচনের আগের দিন থেকেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূম জেলার নানুর। গত বুধবার নানুরের বেজড়া গ্রামে সারারাত বোমাবাজি চলেছিল। রাস্তা থেকে উদ্ধার হয়েছিল বহু তাজা বোমা। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। অভিযোগ উঠেছিল, তৃণমূলের পোলিং এজেন্টকে মারধর ও তৃণমূলের পতাকা ছিড়েছিল বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় বিজেপি পাল্টা অভিযোগ করেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনের আগে গ্রামে অশান্তির পরিবেশ তৈরী করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তৃণমূল।

গতকাল নির্বাচনের দিনে নানুরের বিভিন্ন এলাকায় বারবার সংঘর্ষ, অশান্তি ঘটেছে। গতকাল সকালে নানুরের বাহিরী এলাকায় বিজেপির পোলিং এজেন্টকে মারধর, তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নানুরের বেলুটি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের বন্দুকের বাট দিয়ে মারধরের অভিযোগ, এমনকি গ্রামবাসীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গতকাল বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে মারধরের অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

এরপর কাল সারারাত ধরে নানুরের বন্দর গ্রামে তীব্র বোমাবাজি চলে। যে ঘটনায় বিজেপি অভিযুক্ত করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে। তবে বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এদিকে, গতকাল ভোটের সময় বোলপুরের ইলামবাজারে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে বিক্ষোভ ও তাঁর গাড়িতে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইট, পাথর ছোড়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে।

এমনকি পুলিশের সামনেই গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি প্রার্থীর।
গতকালের এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, হার বুঝতে পেরেই হামলা করেছে তৃণমূল। এর নেপথ্যে রয়েছে পিসি, ভাইপোর গুন্ডাবাহিনী। তবে তিনি ঠিক আছেন। যে গাড়িতে করে তিনি প্রচারের কাজ করেছিলেন, সেই গাড়ি পাথর দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের কিছু পোষা গুন্ডাবাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।