এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভরসা ছিল বামেতেই, এবছরেই বামপন্থী পত্রিকার শারদ সংখ্যায় নিবন্ধ লিখেছিলেন তিনি।

ভরসা ছিল বামেতেই, এবছরেই বামপন্থী পত্রিকার শারদ সংখ্যায় নিবন্ধ লিখেছিলেন তিনি।


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রত্যেক মানুষের জীবনেই একটি আদর্শ থাকে। যে আদর্শ নিয়ে তিনি বাঁচেন, তাঁর জীবনের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এমনকি তাঁর জীবনের মূল্যবোধের তৈরি হয় সেই আদর্শকে কেন্দ্র করেই। তাই মানুষের জীবনে ছোটবেলা থেকেই একটি আদর্শ গড়ে তোলা, তার জীবনের দিক নির্ধারণ করে দেওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এই আদর্শ গঠনের দিক থেকে বাদ যেতে দেখা যায়নি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কেও। সত্যি বলতে কি, ভাবতে অবাক লাগে যে গতকালই আমাদের প্রিয় ফেলুদা আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। যার জন্য ফেলুদা পড়তে শেখা, যাকে সামনে রেখেই জীবনে মগজাস্ত্রে শান দেওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করা, সেই মানুষটির অনুপস্থিতি আজও মেনে দিতে বড় অদ্ভুত লাগে।

সেই তাঁর জীবনের আদর্শ হিসাবেও আমৃত্যু দেখা গিয়েছিল বামপন্থাকেই। ছাত্র জীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতিতে তাঁর আকর্ষণ। আর সেই আকর্ষণকে জীবনের শেষ লগ্ন পর্যন্ত সেই অক্ষুন্ন রেখেছিলেন তিনি। বামপন্থী মতবাদের সঙ্গে তাঁর সম্ভবত সর্বপ্রথম একাত্মতা গড়ে ওঠে কলেজে পড়ার সময়। সেই সময় তিনি বঙ্গীয় প্রাদেশিক ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য ছিলেন বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর তাঁর সিপিআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল। বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময়েও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। চলচ্চিত্র উত্‍সবে চিলির কোন ছবি আনা হবে, নিকারাগুয়ার নতুন কোন পরিচালক ভাল ছবি করছেন এসব নিয়ে তত্‍কালীন তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী বুদ্ধদেববাবুর অন্যতম পরামর্শদাতা হিসেবে তাঁর নামই জানা যায়।

নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর আন্দোলনের সময় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা অনেক শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবি রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করেছিলেন। সেই পর্বেও সেখানে দেখা গিয়েছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয়, এই বছরেই তিনি একটি বামপন্থী পত্রিকার শারদ সংখ্যায় নিবন্ধ লিখেছিলেন বলে জানা যায়।

বস্তুত, সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় বিভাজন নিয়ে তাঁর উদ্বেগের কথা লিখতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর কথায়, ” অবাক লাগে, যাঁর আমলে ২০০২ সালে গুজরাতে ভয়ঙ্কর দাঙ্গা হল সেই তিনিই আজ ভারতবর্ষের মসনদে।” ওই নিবন্ধেরই একদম শেষে তাঁকে লিখতে দেখা যায়, “গোঁড়ামি তৈরি করতেই চালাকি করে ধর্ম ও রাজনীতিকে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে”।

তাঁর কথায়, “কে রামকে ভালবসল, কে রহিমকে- তা কোনও ব্যাপারই হতে পারে না। তাই বার বার মনে হয়, এসবের বিকল্প হতে পারে একমাত্র বামপন্থাই।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাল সৌমিত্রবাবুর মৃত্যুর খবর বুদ্ধদেব ভট্টচার্যকে বেশ কিছুটা পরে জানানো হয়। তারপর বুদ্ধবাবুর তরফে একটি শোকবার্তাও জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!