প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করেছিল, ঠিক তখনই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার পোস্টার পড়তে দেখা যায়। যেখানে নীচে লেখা থাকে, আমরা দাদার অনুগামী। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে তার ছবি থাকলেও, শুভেন্দু অধিকারীর পোস্টারে শুধুমাত্র শুভেন্দুবাবুর ছবি ছাড়া অন্য ছবি ছিল না। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেঁটেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ডোমজুড় কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে পোস্টার পড়তে দেখা গেল।

যেখানে “আমরা রাজীব পরিবারের” পক্ষ থেকে একাধিক রংবেরঙের পোস্টার লেখা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হচ্ছে যার মধ্যে রয়েছে, “শিশু মহিলা বৃদ্ধ যুবক, রাজীবদাকে চায় যে সেবক।” অন্যদিকে “অপরিচিত দপ্তরগুলো আজ তোমায় সেলাম ঠুকে রাজীব নাম লিখে ফেলেছে, তারা নিজেদেরই বুকে।” “শীত গ্রীষ্ম বর্ষা রাজীবদাই ভরসা।” এরকম নানা স্লোগান। বস্তুত, কিছুদিন আগেই এই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেশ কিছু বক্তব্য নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় রাজ্য রাজনীতিতে।

যেখানে দুর্নীতিগ্রস্তদের জায়গা প্রথমে বলে মন্তব্য করেন তিনি। আর তারপর থেকেই তার সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে বলে দাবি করেন একাংশ। আর শুভেন্দু অধিকারীর মতই যেভাবে এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে তার খাসতালুকে পোস্টার পড়তে দেখা গেল, তাতে শাসকদলের চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মান ভাঙানোর জন্য তার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।

কিন্তু তার মধ্যেও যেভাবে তার খাসতালুকে সমর্থনে পোস্টার পড়তে দেখা গেল, তাতে শুভেন্দু অধিকারীর পথেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার অনুগামীরা হাটছেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। তাই এই পরিস্থিতিতে শাসকদলে ব্যাপক ভাঙনের আশঙ্কা করছেন একাংশ। শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার পথ ধরে অনেকেই দলবদল করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আর এমত পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর পথে হেঁটেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা বিভিন্ন জায়গায় স্লোগান লিখে তার প্রচার করতে শুরু করেছেন। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের কাছে। তবে গোটা পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।