শহীদ দিবসে বঙ্গে মমতার বৈঠক অন্যদিকে দুই হেভিওয়েটের সঙ্গে বৈঠক অমিতের, চিন্তা বাড়ছে মমতা সরকারের ! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকালই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশে জুলাই এর ভার্চুয়ালি মঞ্চ থেকে ডাক দিয়েছিলেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে আবার বাংলার মসনদে ফিরে আসার। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা- 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব শুরু করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী একুশের ভার্চুয়ালি মঞ্চ থেকেই। কিন্তু একদিকে মুখ্যমন্ত্রী যখন একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীকে সাক্ষী রেখে গেরুয়া শিবিরকে একের পর এক আক্রমণ করে চলেছেন, সে সময় গেরুয়া শিবির পাল্টা গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুই নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসলেন দিল্লীতে। আর এই নিয়েই তৃণমূল নেতৃত্ব ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। দার্জিলিং বেশ কয়েক বছর আগেও রাজনৈতিক কারণে অশান্ত হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ভেঙে দেন এবং পরিবর্তে বিমল গুরুং ও রোশন গিরি হয়ে যান ফেরার। দার্জিলিং হয় জিটিএসের। নেতৃত্বে আসেন বিনয় তামাং। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার গুরুংপন্থীরা আবার নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এবং এই মনে হওয়া আরো বেশি পোক্ত হচ্ছে গতকালের ঘটনায়। জানা গেছে, গতকাল বিমল গুরুংপন্থী দুই নেতা নিমু তামাং এবং বিনু সুনদাস সোজা দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। আর এই বৈঠক ঘিরে এবার বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে। অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন, তাহলে কি পাহাড়ে এবার নতুন করে অশান্তির আগুন জ্বলতে চলেছে? অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুংপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, যারা এই মুহূর্তে ফেরার তাদের সঙ্গে কেন বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, বিজেপির রাজনৈতিক চক্রান্তের কথা। তাঁদের দাবি, পাহাড়কে উত্তপ্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টায় রয়েছে গেরুয়া শিবির। জানা গেছে, বুধবার সকালে মোর্চার দুই সদস্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন এবং 40 মিনিট তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। এই বৈঠকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব উপস্থিত ছিলেন। এবং এই বৈঠকের পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতারা পরিষ্কার জানান, বাংলায় বিজেপির গুরুত্ব বৃদ্ধির পেছনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ভূমিকা স্বীকার করে নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে এবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ইঙ্গিত দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, পাহাড় সম্পর্কে যদি কিছু জানার থাকতো তাহলে অমিত শাহ কেন রাজ্য বা জিটিএ কে জানালেন না? তাহলে কি পাহাড়ে আবার নতুন করে লাগতে চলেছে অশান্তির আগুন? অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, পুরোটাই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গেরুয়া শিবিরের পদক্ষেপ। একদিকে যখন তৃণমূল 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে, ঠিক সে সময় গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে তৃণমূল নেত্রীর কপালে ভাঁজ ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে পাহাড় যেখানে শান্ত রয়েছে, সেখানে এতদিন পরে গুরুংপন্থীদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে উঠেছে প্রশ্ন, তাহলে কি গুরুংপন্থীরা এবার আশ্রয়ের জন্য বেছে নিচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে! আপনার মতামত জানান -