অমিত শাহের বঙ্গ সফরে একান্ত বৈঠক নিয়ে কি বলছেন রাজ্য বিজেপির দুই শীর্ষনেতা? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য June 29, 2018 বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই বাংলার রাজনীতিতে লড়াইটা মোটামুটি তৃণমূল বনাম বিজেপি হয়ে গেছে। কংগ্রেস বা বামফ্রন্ট সেই লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের তফাৎটা অনেকটাই। এই পরিপ্রেক্ষিতে এতদিন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ত্বের অভিযোগ ছিল ‘সন্ত্রাস’ করে শাসকদল ভোট লুঠ করছে, যেদিন মানুষ ভোট দিতে পারবেন সেদিনই দেখা যাবে শাসকদল হেরে গেছে। অন্যদিকে শাসকদলের শীর্ষনেতৃত্ত্বের বক্তব্য ছিল, মানুষ তাঁদের করা উন্নয়ন দেখেই তৃণমূলের পাশে আছেন, বিজেপি এখানে কিছুই করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে দুদিনের বঙ্গ-সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পোর্ট গেস্ট হাউসে তিনি রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্ত্বের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যস্তরের সব শীর্ষনেতাই। এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সেই বৈঠকের শেষে দলের প্রাক্তন বিধায়ক ও অন্যতম শীর্ষনেতা শমীক ভট্টাচার্য্য বলেন, বিজেপিকে এ রাজ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ময়দানে নামতে বলেছেন অমিত শাহ। দলকে সন্ত্রাসের মুখোমুখি যে হতে হচ্ছে, তা তিনি জানেন। কিন্তু অমিতজির স্পষ্ট বার্তা, সন্ত্রাস-সন্ত্রাস বলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। সর্বত্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরাসরি সংগ্রামে নামতে হবে। তৃণমূলকে কোনও অজুহাতেই এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া নয়, অমিত শাহের বার্তা এক কথায় এই। অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও তরুণ তুর্কি সায়ন্তন বসু জানান, ‘বৈঠকে অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তৃণমূলের সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতার প্রশ্ন নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সে বার্তা আগেই দিয়েছেন। তিনি সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। যে সব শব্দ তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে প্রয়োগ করেছেন, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কেও ততটা কঠোর শব্দচয়ন প্রধানমন্ত্রী মোদী করেননি। সেখান থেকেই বুঝে নেওয়া উচিত, তৃণমূলকে এক বিন্দু জমিও ছাড়া হবে না। সর্বভারতীয় সভাপতি এ দিন নির্বাচন ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে বৈঠকে সেই বার্তা আরও স্পষ্ট ভাবে দিয়েছেন। আপনার মতামত জানান -