এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আসলে কি তৃণমূল ও অভিষেক ব্যানার্জি চাপে পরে গেছেন? যুক্তি দিয়ে জল্পনা বাড়ালেন শমীক ভট্টাচার্য

আসলে কি তৃণমূল ও অভিষেক ব্যানার্জি চাপে পরে গেছেন? যুক্তি দিয়ে জল্পনা বাড়ালেন শমীক ভট্টাচার্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন সময়ে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারতন্ত্রকে আশ্রয় দিচ্ছে। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভানেত্রী হলেও, তার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুব তৃনমূলের দায়িত্ব দিয়ে পরিবারতন্ত্র কায়েম করা হচ্ছে বলে অভিযোগ একাংশের। এমনকি মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করার পর “পিসি- ভাইপোর কোম্পানি চলছে” বলে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন।

তবে রবিবার দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলির সভা থেকেই ব্যাপারে সেই সমস্ত নেতাদের বক্তব্যের জবাব দিতে দেখা যায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যেখানে সরাসরি রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ জানাতে দেখা যায় তাকে। আর এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যের জবাব দিয়ে পাল্টা যুক্তি দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। যাকে কেন্দ্র করে শোরগোল তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলির সভা থেকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

যেখানে তিনি বলেন, ‘বারবার যে পরিবারতন্ত্রের দোষ দেওয়া হয়, আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কেন্দ্র সংসদে বিল আনুক। প্রতিটি পরিবার থেকে একজন সদস্য রাজনীতিতে আসুক। আমি তাদের প্রথম ভোট দেব। তারপরে রাজনীতি ছেড়ে দেব। শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন আমাদের পরিবার থেকে।” অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে নাম না করে এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মুকুল রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ করেছেন, তা বলাই যায়। আর অভিষেকবাবুর সেই মন্তব্যের এদিন কড়া ভাষায় জবাব দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা বন্দোপাধ্যায় পরিবারে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ বা পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণটা প্রথম শুরু করেছিলেন তৃণমূল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছেন তারা। আবার বিজেপিতে এলেই গদ্দার বলা হচ্ছে। বাংলার মানুষ এই বিতর্কে খুব একটা পৌঁছতে চায় না। বাংলার মানুষের কাছে এখন প্রধান ইস্যু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার। আমাদের 137 জন কর্মী খুন হয়ে গিয়েছেন। তখন কার পরিবারে কটা এমপি আছে, সেটা আলোচনার বিষয়বস্তু নয়। কোনো পলিটিকাল এজেন্ডা সেট করতে পারছে না। বিজেপি কোনো বিষয়ে কথা বললেই পাল্টা সভা করছে। পুরোপুরি রিঅ্যাকটিভ চলে গিয়েছে। এসব কথা বলে মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোড়ানোর চেষ্টা করছে।”

স্বাভাবিক ভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারতন্ত্র নিয়ে মুখ খোলার সাথে সাথেই যেভাবে তার জবাব দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য, তাতে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। অনেকে বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে নাম না করে এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বা তার পরিবারকে আক্রমণ করেছেন। যার পাল্টা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাবা-ছেলে কি এমএলএ হতে পারে না? সংবিধানে কি বাধা আছে? চাইলে সংসদে বিল আনতে পারেন।

পলিটিকাল এজেন্ডা সেট করতে পারছে না।” এতদিন বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে পরিবারতন্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হলেও এদিন তার জবাব দিয়ে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মূল সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কথা বলেছেন, তা কার্যত বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। সব মিলিয়ে এবার পরিবারতন্ত্র ইস্যু নিয়ে বিজেপি তৃণমূলের তরজায় রীতিমত সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!