এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ২৫ বছরের বিধায়ক ১টা নির্বাচন হারলেই গুরুত্ব নেই দলে? হেভিওয়েট নেতার অভিযোগে তুলকালাম তৃণমূলে

২৫ বছরের বিধায়ক ১টা নির্বাচন হারলেই গুরুত্ব নেই দলে? হেভিওয়েট নেতার অভিযোগে তুলকালাম তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নদীয়া জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। কিন্তু মহুয়া মৈত্রকে দায়িত্ব দেওয়ার পর সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে মনে করেছিলেন একাংশ। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই প্রকট হচ্ছে সেখানকার তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সম্প্রতি একটি কর্মীসভায় তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা শঙ্কর সিংহ শান্তিপুরের পৌর প্রশাসক অজয় দের প্রশংসা করেন।

যেখানে তিনি বলেন, “অজয় 25 বছর পৌরপ্রধান, 25 বছর বিধায়ক ছিল। একটা নির্বাচনে হেরে যাওয়াতে তার কোনো গুরুত্ব নেই, কোনো মূল্য নেই বলে ধরে নেওয়া হবে কেন!” কিন্তু শনিবার শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরীতে শান্তিপুর বিধানসভা এলাকায় কর্মী সভায় অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল সেই অজয়বাবুকে। যাকে কেন্দ্র করে নতুন করে জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে।

তাহলে কি দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা? কেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ কর্মীসভায় অনুপস্থিত থাকলেন! প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই শান্তিপুরে অরিন্দম ভট্টাচার্যের সঙ্গে অজয় দের বিবাদ নতুন কিছু নয়। বর্তমানে সেই শান্তিপুরের দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে অরিন্দম ভট্টাচার্যের হাতে। তিনি একসময় তৃণমূলের অজয়বাবুকে হারিয়ে সিপিএম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেই অরিন্দম বাবুকেই এখন শান্তিপুরের দলের দায়িত্ব দেওয়ায় কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ অজয়বাবু এবং তার অনুগামীরা। যার ফলেই এই কর্মীসভায় অজয়বাবু অনুপস্থিত ছিলেন বলে দাবি করছেন একাংশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যদি দলে ঐক্য দেখা না যায়, তাহলে ভবিষ্যতে কিভাবে লড়াই দেবে তৃণমূল কংগ্রেস, তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রশ্ন। কেন এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের সকলে এক মঞ্চ থেকে বিজেপি বিরোধিতার সুরকে চওড়া করতে পারছে না!

এদিন শান্তিপুরের এই ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন জেলা কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য নন্দ সাহা। কৃষ্ণনগর বিজয় সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই এই বিষয়ে নন্দবাবু বলেন, “এই কমিটি দলনেত্রীর নির্দেশ করা হয়েছে। সুতরাং মেনে না নেওয়ার প্রশ্নই নেই। বরং সবাইকে নিয়ে কমিটি গঠন করায় পরিধি বর্ধিত হল। অনেকে মিলে কাজ করা যাবে।” কিন্তু তাহলে কেন তিনি অনুপস্থিত থাকলেন এই কর্মীসভায়!

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা অজয় দে বলেন, “কেন যেতে পারিনি, সে বিষয়ে যা বলার জেলা সভাপতিকে জানিয়েছি।” তবে যে কারণেই তিনি অনুপস্থিত থাকুন না কেন, তার এই অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে যে শাসকদলের কোন্দল আরও প্রকট হল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!