বিপ্লব চ্যাটার্জির বামসত্বাকে পূর্ণ সম্মান দিয়েই বিসিপির পরমার্শদাতা করা হয়েছে: শঙ্কুদেব কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 16, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তুমুল সাফল্যের পরেই দিকে দিকে সংগঠন বাড়াতে মনোযোগী হয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনও রীতিমত ডানা মেলছে। আর এগুলির মধ্যে অন্যতম হল রন্তিদেব সেনগুপ্ত-শঙ্কুদেব পণ্ডার নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় চলচ্চিত্র পরিষদ বা বিসিপি। রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রী ও তাঁর ভাইয়ের ‘হাত থেকে’ টালিগঞ্জকে ‘রক্ষা করতে’ এই বিসিপির আত্মপ্রকাশ বলে অভিমত গেরুয়া শিবিরের। আর বিসিপির আত্মপ্রকাশের সাথে-সাথেই একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছেন শঙ্কুদেব পণ্ডা। প্রথমেই সাংবাদিক বৈঠক করে দীর্ঘদিন ধরে টালিগঞ্জে চলতে থাকা পেমেন্ট সমস্যা নিয়ে এমন বিস্ফোরক সব অভিযোগ সামনে তুলে আনলেন বা সেই সমস্যা দ্রুত সমাধান না হলে প্রয়োজনে দিল্লি-মুম্বইয়ে গিয়ে চ্যানেলের সদর দপ্তরে টালিগঞ্জের ‘সিন্ডিকেট রহস্য’ ফাঁসের হুমকি দিলেন – যে সাতদিনের মধ্যেই সেই পেমেন্ট সমস্যার বরফ গলতে শুরু করল! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু তার থেকেও বড় চমক বোধহয় ঘোষিত বামপন্থী ও প্রখ্যাত অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে বিসিপিতে অন্যতম প্রধান পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়ে আসা। কেননা, বিপ্লববাবুর চিন্তাধারার সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থিত গেরুয়া শিবির প্রভাবিত একটি সংগঠনের মাথায় বসছেন তিনি এটা অনেকেই হজম করতে পারছেন না। এই নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে টলিপাড়ায়। অনেকেই চমকে গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতার এই পদক্ষেপে! এই প্রসঙ্গে শঙ্কুদেব পণ্ডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেকেই হাস্যকরভাবে দাবি করছে বিপ্লবদা নাকি বিজেপিতে যোগদান করে গেছেন! আমি একটা কথা স্পষ্ট করে দিতে চাই, বিপ্লবদা আমাদের সম্মানিত করে বিসিপির মাথায় অন্যতম পরামর্শদাতা হিসাবে বসেছেন, বিজেপিতে যোগ দেন নি। আর, বিপ্লবদার এই পদক্ষেপ হয়েছে সম্পূর্ণরূপে তাঁর বামসত্বাকে অক্ষুন্ন রেখেই। তাঁর বামপন্থী আদর্শ ও মনোভাবের উপর আমাদের পূর্ণ সম্মান আছে। শঙ্কুদেব আরও স্পষ্টভাবে জানান, বিপ্লবদা বিসিপিতে এসেছেন টালিগঞ্জের সিন্ডিকেট রাজকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে, সেখানে কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। আর বিপ্লবদার দেখানো পথেই আগামীদিনে আরও বহু মানুষ বিসিপিতে আসবেন, যাঁরা ভিন্ন মতধারায় বিশ্বাসী হলেও মনেপ্রাণে চান, টালিগঞ্জ আবার নিজের গরিমায় ফিরে আসুক এবং কলাকুশলীরা নিজেদের যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ ও উপার্জন করুক। এটা একটা সম্মিলিত লড়াই, যেখানে সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, তা তিনি যে ভাধারারই হন না কেন, একত্রিত হয়ে টালিগঞ্জের অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটাবেন। আর সেই লড়াইয়ে বিপ্লবদাদের মত অগ্রজরাই তো আমাদের পথ দেখাবেন – এটাই তো স্বাভাবিক, এর মধ্যে তো কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। আপনার মতামত জানান -