এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শঙ্কুদেব মন্ত্রীর সঙ্গে ‘দুষ্কৃতীদের সম্পর্ক’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বহিস্কৃত তৃণমূল নেত্রী

শঙ্কুদেব মন্ত্রীর সঙ্গে ‘দুষ্কৃতীদের সম্পর্ক’ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই বহিস্কৃত তৃণমূল নেত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত কয়েকদিন ধরেই বাগনান কান্ড নিয়ে কার্যত ঝড় চলছে রাজ্য-রাজনীতিতে। যেভাবে সেখানে একটি প্রাণ চলে গেল – আর তার প্রতিবাদে যেভাবে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদে গর্জে উঠতেই সেখানে অস্ত্র ও রক্তের তান্ডব চলল – তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলার শিক্ষিত ও সুশীল সমাজ। ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে আঙুল উঠতেই স্বভাবিকভাবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপি।

ইতিমধ্যেই সেখানে সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায় – একাধিক গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী পৌঁছে গেছেন। একের পর এক কঠিন প্রশ্নে রীতিমত কোনঠাসা করে ফেলেছেন ঘাসফুল শিবিরকে। আর সেইসবের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি জানান, এই ঘটনার পিছনে ‘অবৈধ’ সম্পর্কের জের রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তৃণমূলের কোনো যোগ নেই, তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত স্তরের তৃণমূল সদস্য মাত্র।

অরূপবাবু এদিন নিজের বক্তব্যে বিজেপিকেও এক হাত নেন! তিনি বলেন, বিজেপির স্বভাবই হচ্ছে ঘোলা জলে মাছ ধরা। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেন। আর তাই অপরাধ করলে ছাড় পান না তৃণমূলের বিধায়ক বা কাউন্সিলররাও। তাঁদেরও জেলে যেতে হয় – আর তাই, বাগনান কাণ্ডেও কোনো রঙ দেখা হবে না। অপরাধীরা শাস্তি পাবেনই। যেখানে স্থানীয় বিক্ষোভ তৃণমূল কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট নেত্রীর ক্রমশ জোরালো হচ্ছে, সেখানে সমবায় মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যে জল্পনা শুরু হয়।

এদিকে সকালে মন্ত্রী অরূপ রায় সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার কিছুক্ষনের মধ্যেই সেখানে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা। তাঁর সঙ্গে সেখানে হাজির ছিলেন যুব বিজেপির বিশাল সংখ্যক সদস্য। শঙ্কুদেব এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, অপরাধীদের সঙ্গে অরূপদার কি কোনো সম্পর্ক আছে? সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে! অপরাধীদের অপরাধীর মতোই দেখতে হবে। আসলে এইসব হচ্ছে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপরেই রীতিমত কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়ে শঙ্কুদেব বলেন, যাবেন তো নিশ্চিত, ক্ষমতা তো আর থাকবে না! তাহলে কেন এসব করছেন? শেষ সময় এসেছে – একটু পুন্য করে যান এইসব অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে। নাহলে ক্ষমতা গেলে জনরোষ থেকে বাঁচতে পারবেন না! এখানে ঘর থেকে কাটারি উড়ে আসছে! কোন ভালো মানুষ ঘর থেকে এইভাবে কাটারি উড়ে আসে? অরূপদাকে প্রশ্ন করব – আপনার ঘরের দিকে কেউ কাটারি ছুঁড়ে মারলে, তাকে আপনি কি বলবেন? ভালো লোক? সমাজসেবী? পুরস্কার দেবেন?

শঙ্কুদেবের আরও বক্তব্য, অভিযুক্তরা নিজেদের মত কথা বলছেন, কিন্তু শাসকদলের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী কি করে তা ‘জাস্টিফাই’ করেন? এর থেকেই তো বোঝা যায় – ঘুন ধরতে ধরতে তৃণমূল কংগ্রেস ও তার সরকারের কি অবস্থা হয়েছে! তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করে দেওয়া উচিত। অরূপদা এখনও পর্যন্ত এই পদক্ষেপ নেন নি কেন? প্রশাসনিক পদে থাকা একজনের বাড়ির লোকের এই আচরণ! এখনও সময় আছে শুধরে যান – তাহলে হয়ত শেষ অবস্থায় জনগণ অ্যাট্যাকতা করবে না!

স্বাভাবিকভাবেই শঙ্কুদেবের এহেন বক্তব্যের পরেই কার্যত ঝড় উঠে যায় রাজ্য-রাজনীতিতে। এত বড় ঘটনার পরেও তৃণমূল কেন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিভিন্ন মহল থেকে। আর এরপরেই বড়সড় পদক্ষেপ ঘোষণা করে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্য রমা বেরাকেও বহিস্কৃত করে ঘাসফুল শিবির। আর এখানেই প্রশ্ন তুলছে গেরুয়া শিবির – সকালেই মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই!

গেরুয়া শিবিরের আরও প্রশ্ন, এতদিন চুপ করে থাকার পর, বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে ‘ওই দুষ্কৃতীদের’ সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তড়িঘড়ি কেন বহিষ্কারের মত কঠিন পদক্ষেপ নিল শাসকদল? ফলে, সবমিলিয়ে বাগনান কাণ্ডে ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। বিশেষ করে বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা যেভাবে সেখানে গিয়ে একের পর এক কঠিন প্রশ্ন সরাসরি তুললেন রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ রায়ের বিরুদ্ধে – আর তারপরেই শাসকদল কঠিন সিদ্ধান্ত সামনে নিয়ে এল – তা বড়সড় ইঙ্গিতবাহী বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!