এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > শান্তস্বভাবের বিজেপি সাংসদ হঠাৎ করেই ‘রণচন্ডী’ মূর্তিতে! অবাক হয়ে পিছনের রহস্য খুঁজছে সবাই

শান্তস্বভাবের বিজেপি সাংসদ হঠাৎ করেই ‘রণচন্ডী’ মূর্তিতে! অবাক হয়ে পিছনের রহস্য খুঁজছে সবাই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে গেরুয়া শিবিরের সমস্ত সদস্যরাই এবার অতি সক্রিয় হয়ে কাজে নেমেছেন। নরমে গরমে প্রত্যেকেই এলাকায় প্রভাব জমাতে ব্যস্ত। এতদিন পর্যন্ত যেসব সদস্যদের অত্যন্ত শান্ত শিষ্ট বলে জানা যাচ্ছিল, তাঁরাও এখন ওপর মহলের নির্দেশে দাপুটে ভাবমূর্তি ধরতে আগ্রহী। এরকমই দৃশ্য দেখা গেল এবার জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি এলাকার এতদিনকার পরিচিত শান্তশিষ্ট সাংসদ হঠাৎ করেই পুলিশ এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রীতিমতো আলোচিত হচ্ছেন রাজনৈতিক মহলে।

সম্প্রতি জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় এবিভিপি সমর্থকদের গ্রেপ্তার করার কারণে থানায় ঢুকে রীতিমতো হুমকি দেন পুলিশকে। সূত্রের খবর, এই হুমকের জেরে মাঝ রাস্তা থেকে এবিভিপি সমর্থকদের নিয়ে পুলিশ ভ্যান ফিরে আসে এবং থানা থেকেই তাঁদের জামিন হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। যদিও জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ এই ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে জানা গেছে সাংসদ জয়ন্ত রায় সম্প্রতি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে রীতিমত ফোন করে লাউডস্পিকারে হুমকি দেন।

জানা গেছে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তিনি এদিন ফোনে নির্দেশ দেন বিএমওএইচকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। এই সমস্ত ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রবল আলোচিত হচ্ছেন রাজনৈতিক মহলে চিকিৎসক জয়ন্ত রায়। এমনকি বিজেপির অন্দরেও শুরু হয়েছে তাঁকে নিয়ে জল্পনা। তবে জানা যাচ্ছে, 2  সেপ্টেম্বর এই সাংসদ শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের সংঘের সদর মাধব ভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে সংঘের কর্তারা সাংসদ জয়ন্ত রায়কে দাপটের সাথে রাজনীতি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই সাংসদের এহেন পরিবর্তন। যদিও সাংসদ নিজে হুমকির ব্যাপারটি পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, বর্তমানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা সমস্ত কিছুই ভেঙে পড়ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সে ক্ষেত্রে তিনি শুধু প্রতিবাদ করেছেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিচারে বিজেপি নেতাদের গ্রহণযোগ্যতার নিরিখে সাংসদ জয়ন্ত রায় বেশ কিছুটা এগিয়ে আছেন বলে জানা যাচ্ছে। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জলপাইগুড়িতে সাংসদ জয়ন্ত রায়কে সামনে রেখেই নির্বাচনী কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী জানিয়েছেন, সাংসদ জয়ন্ত রায় সম্পর্কে যা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি ভুল। সাংসদের ভাবমূর্তি বদলায়নি। তবে মানুষের ক্ষোভের কথা সাংসদ শুনছেন এবং প্রশাসনকে জানাচ্ছেন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যে তাঁদের জমি শক্ত করার দিকে মন দিয়েছে বলে মনেকরছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রত্যেকেরই লক্ষ্য, আগামী দিনে বিধানসভার মসনদ দখল। তাই শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে রীতিমতো টক্কর দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির অর্থাৎ বিজেপি। এই অবস্থায় নিজেদের স্থান ধরে রাখার জন্য প্রতিটি দলেরই নেতা নেত্রীরা এই মুহূর্তে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। তবে নজর সবার যে একদিকেই, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে দাবী করছে বাংলার রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!