এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দুর্নীতিতে টালমাটাল মন্ত্রীসভা! ইস্তফা দিতে হচ্ছে এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে! চাপে মুখ্যমন্ত্রী?

দুর্নীতিতে টালমাটাল মন্ত্রীসভা! ইস্তফা দিতে হচ্ছে এই হেভিওয়েট মন্ত্রীকে! চাপে মুখ্যমন্ত্রী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সদ্যই শেষ হয়েছে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে জয়লাভ করেছে এনডিএ জোট। রাজ্যে জেডিইউ পিছিয়ে থেকেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। যদিও নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল এবারের বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে। দুর্নীতির অভিযোগ তো অনেক আগে থেকেই ছিল জেডিইউ এর বিরুদ্ধে। আর তারই খেসারত দিতে হলো এবার। মাত্র তিন দিন হল বিহার মন্ত্রিসভা তৈরি হয়েছে। শপথ গ্রহণ করেছেন বিহার মন্ত্রিসভার বেশকিছু মন্ত্রী। কিন্তু শপথ গ্রহণের পর থেকেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয় শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরীকে নিয়ে। প্রবল টানাপোড়েনের পর এদিন শিক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মেওয়ালাল।

জানা গিয়েছে, 3 বছর আগের একটি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন মেওয়ালাল চৌধুরী। সেসময় দল থেকে তাঁকে কিছুদিনের জন্য বহিস্কৃতও করা হয়। আর এই নিয়ে বিহারের বিরোধী শিবির আরজেডি প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে কিভাবে একসময়ের বহিষ্কৃত নেতা মেওয়ালাল চৌধুরী দুর্নীতিতে যুক্ত থাকা সত্বেও তাঁকে মন্ত্রী করা হলো? অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, নীতীশ কুমারের অস্বস্তিতে পড়ার কারণ তারাপুরের এই বিধায়ক মেওয়ালাল চৌধুরী জেডিইউ-এরই অন্যতম নেতা। জানা গিয়েছে, 2017 সালে ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন সহকারী অধ্যাপক এবং জুনিয়র সায়েন্টিস্ট পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে মেওয়ালাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

সে সময় কিছুদিনের জন্য তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় বলে জানা গিয়েছে। বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি নিয়ে মেওয়ালালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। যদিও এখনো পর্যন্ত পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনো চার্জশিট জমা করতে পারেনি। অন্যদিকে মেওয়ালাল চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তদন্ত চলছে। তাঁর বিরুদ্ধে এখনও অভিযোগ কিন্তু প্রমাণ হয়নি। যেহেতু তদন্ত চলছে, তাই তিনি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা মামলার কথা নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি বলে জানিয়েছেন মেওয়ালাল চৌধুরী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এ প্রসঙ্গে তিনি যুক্তি দেখিয়েছেন, বহু বিধায়কের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সেগুলি প্রমাণসাপেক্ষ। অন্যদিকে মেওয়ালাল চৌধুরী বিহারের শিক্ষামন্ত্রী হওয়ায় যথারীতি ক্ষেপে ওঠে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। একের পর এক টুইট করতে থাকেন তিনি নীতীশ কুমারকে। এবং বলাই বাহুল্য সেই টুইটের ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক। অভিযোগ উঠেছে, মন্ত্রিসভায় ক্রিমিনালদের জায়গা করে দিচ্ছেন নীতীশ কুমার। অন্যদিকে মেওয়ালাল পাল্টা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে জানিয়েছেন, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাই অন্যের দিকে আঙুল তোলার আগে এ কথা তাঁর ভাবা উচিত।

তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে পড়েই মেওয়ালাল চৌধুরী আজ ইস্তফা দিলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এই ইস্তফা প্রদান নীতীশ সরকারকে আরো একবার অস্বস্তির মুখে দাঁড় করালো বলে মনে করা হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার তিনদিনের মাথাতেই বড়সড় ধাক্কা খেলো নীতীশ কুমার সরকার, যা আগামী দিনে বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর থেকেই বিহার মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিহারের বিরোধী শিবির। সব মিলিয়ে নীতীশ কুমার সরকারকে প্রথম থেকেই কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!