এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শাপে হলো বর, নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজয়বর্গীয়র নিরাপত্তা আরও বাড়ালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

শাপে হলো বর, নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজয়বর্গীয়র নিরাপত্তা আরও বাড়ালো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি বাংলার রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন ফেলেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনা। এই হামলার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র রাজ্যে যে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বেড়েছে, তাই নয়। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসনেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর। এবং এই হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে যেমন গেরুয়া শিবির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় গেরুয়া শিবির বাংলার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে রাজ্যের বিজেপি দল।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা যেন গেরুয়া শিবিরের সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর এবাইয়ে। নাড্ডার কনভয়ে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আরেক কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফ থেকে বাংলার পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই নির্দেশ এসেছে তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো নিয়ে। তাঁকে গাড়ির সামনের সিটে বসতে নিষেধ করা হয়েছে  যেমন, সেরকমই বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেবার কথা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, শিরাকোলে জেপি নাড্ডার কনভয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়ের গাড়িও ছিল। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকার জন্য আঘাত অল্পের জন্য এড়ানো গেলেও কৈলাস বিজয়বর্গীয় কিংবা মুকুল রায়ের গাড়ি কিন্তু বুলেটপ্রুফ ছিল না এবং ভালো মতনই তাতে ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয় নিজেও ইঁটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং মুকুল রায়ের এই আঘাতের ফলে আঙ্গুল ভেঙে গেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে মুকুল রায়ের পাশে দাঁড়িয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এদিন আরও একবার রাজ্য সরকারের ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি দাবি করেন, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে এই মুহূর্তে আর কিছু অবশিষ্ট নেই। রাজ্যে বল্গাহীন হিংসা চলছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে অধিকাংশ সময় বাংলায় কাটান কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সংগঠনের কাজে তিনি এখন জেলায় জেলায় ছুটে বেড়ান। আর সে কারণেই কেন্দ্রীয় নেতার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের গাড়িতেও একাধিকবার হামলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলা হতে দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, 2020 শেষে বাংলার রাজনৈতিক পারদ ভালো মতনই চড়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি যে কোন দিকে যাবে, তা অবশ্য এখনই বলা যাচ্ছেনা। কিন্তু রাজ্যে আরও বড় রাজনৈতিক কান্ড ঘটতেই পারে, সে অনুমানের দিক দিয়ে একমত সবাই।

অন্যদিকে তৃণমূল কৈলাস বিজয়বর্গীয় কথার সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও ঘনিষ্ঠমহলে শোনা যাচ্ছে তৃণমূল শিবিরের অনেক নেতাই দাবি করেছেন, গেরুয়া শিবির নিজেদের দর বাড়ানোর জন্যই হামলার কৌশল অবলম্বন করেছেন। তবে জেপি নাড্ডার গাড়ির ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় নিরাপত্তা বাড়ানো হলো ঠিকই, কিন্তু পাশাপাশি রাজ্য নেতাদেরও কিন্তু অনেক সময় হামলার মুখে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে এই নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় যেহেতু একজন কেন্দ্রীয় নেতা তাই তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিল বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!