শাসক-বিরোধী মতানৈক্যকে দূরে রেখে বাংলার সব সাংসদ করলেন সাহায্য! জেনে নিন! রাজ্য April 2, 2020 সময়টা রাজনীতির নয়। প্রথম থেকেই করোনা ভাইরাসকে আটকাতে দলমত নির্বিশেষে সকলের একসাথে লড়া উচিত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তবে করোনার মত ভয়াবহ মারন ভাইরাসকে আটকাতে হাসপাতালে পরিকাঠামো শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। তাই এই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি দরকার অর্থ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ফান্ড গঠন করা হয়েছে। বাংলায় শাসকের স্থানে তৃণমূল কংগ্রেস থাকলেও এবং বিভিন্ন সময় তৃণমূলের বিভিন্ন নীতি নিয়ে বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেস সরব হলেও, এবার করোনা ভাইরাসকে আটকাতে দলমত নির্বিশেষে বাংলার সব সাংসদ সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন। সূত্রের খবর, লোকসভার 41 জন জন এবং রাজ্যসভার একজন সাংসদ নিজেদের এলাকার উন্নয়ন তহবিল থেকে সাহায্য করলেন। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোন সাংসদ নিজেদের সাংসদ তহবিল থেকে কত টাকা করে বরাদ্দ করবেন, তা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি। অন্যদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীও তার তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু কে কত টাকা দিয়ে আর্থিক সাহায্য করেছেন? সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায় 1 কোটি 10 লক্ষ, উত্তর কলকাতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এক কোটি, জয়নগরের প্রতিমা মন্ডল এক কোটি এবং বাকি তৃণমূলের 19 জন সাংসদ 50 লক্ষ করে টাকা দিয়েছেন। এদিকে বাংলা থেকে নির্বাচিত বিজেপির 18 জন সাংসদ এবং রাজ্যসভায় মনোনীত সাংসদ রুপা গঙ্গোপাধ্যায় আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে রুপাদেবী প্রায় 8 কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন করোনা মোকাবিলায়। এক কোটি টাকা করে অর্থ সাহায্য করেছেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, অর্জুন সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ সরকার এবং শান্তনু ঠাকুর। অন্যদিকে খগেন মুর্মু 70 লক্ষ, বালুরঘাটের সুকান্ত মজুমদার 30 লক্ষ্য এবং বাকি বিজেপি সাংসদ 50 লক্ষ টাকা করে করোনা মোকাবিলায় সহযোগিতা করেছেন। একইভাবে দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক নীরজ তামাং জিম্মা কুড়ি লক্ষ টাকা দান করেছেন করোনা মোকাবিলায়। অন্যদিকে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিজস্ব তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে এক কোটি টাকা দান করেছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারকে 30 লক্ষ, নিজের বেতনের 2 লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে, এছাড়াও মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে তিনি কথা দিয়েছেন যে, তিনটি ভেন্টিলেটার কেনার অর্থ তিনি প্রদান করবেন। পিছিয়ে নেই রাজ্যের বামফ্রন্টের বিধায়করাও। বালুরঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী 10 লক্ষ টাকা দান করেছেন করোনা মোকাবিলায়। তবে বামেদের কোন বিধায়ক কত টাকা দিয়েছেন, তার তালিকা এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে, তাতে বাম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা যে অর্থ প্রদান করছেন, তার সংখ্যাটা 35 কোটি 21 লক্ষের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মত একাংশের। সব মিলিয়ে এখন রাজনীতিকে দূরে রেখে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন শাসক-বিরোধী সকলেই। আপনার মতামত জানান -