এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাসকদলের ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি এবার এল সামনে, অস্বস্তি চরমে তৃণমূল শিবিরে

শাসকদলের ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি এবার এল সামনে, অস্বস্তি চরমে তৃণমূল শিবিরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট বর্তমানে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শিবির শুদ্ধিকরণে জোর দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে শাসকদলের দুর্নীতির ছবি এবার প্রকাশ্যে আসছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ক্রমাগত শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগকে সামলাতে তৃণমূল দল বর্তমানে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। রাজ্য জুড়ে করোনা আবহের শুরু থেকেই রাজ্য প্রশাসনের দিকে একের পর এক দুর্নীতি নিয়ে ক্রমাগত শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল রাজ্যের বিরোধী দলগুলি।

তবে পরবর্তীতে রাজ্যের সাধারণ মানুষও বিভিন্ন জায়গায় শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রবল অভিযোগ তোলে দুর্নীতি নিয়ে। আর তারপরেই অবস্থা বেগতিক দেখে তৃণমূল শিবির রীতিমতো নড়েচড়ে বসে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সম্প্রতি কালনা 2 নম্বর ব্লকের অকালপৌষ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুতুবপুর গ্রামে অভিযোগ উঠেছে 100 দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতির কথা ফাঁস হলো প্রকাশ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের কুতুবপুর গ্রামের নেতা আব্দুল মালেক এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর, 100 দিনের কাজে তৃণমূল কংগ্রেসের কুতুবপুর গ্রামের নেতা ও বুথ সভাপতি আব্দুল মালেক, পিতা-মৃত বুনো শেখ, তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বেগমসহ তিনজন সুপারভাইজার- যথাক্রমে স্বপন বারিক, পিতা-মৃত রাধাকান্ত বারিক, রবীন্দ্রনাথ কোড়া, মণিরুদ্দিন মণ্ডল, পিতা মৃত আব্দুল জব্বার মণ্ডল এই ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির পেছনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, সুপারভাইজার স্বপন বারিক, রবীন্দ্রনাথ কোড়া এবং মণিরুদ্দিন মণ্ডল কুতুবপুর গ্রামের প্রায় 300 জন জব কার্ডধারী এবং সাধারণ মানুষের সামনে প্রকাশ্যে এই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং তাঁরা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আব্দুল মালেক এর নির্দেশেই সমস্ত দুর্নীতি হয়েছে দিলীয় স্বার্থে। সম্প্রতি mgnrega ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, আব্দুল মালেক এবং তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেসা বেগম 2018 সালের 107 টি কাজের মজুরি বাবদ 18500 টাকা এবং 2019 সালের চব্বিশটি কাজের মজুরি বাবদ 5348 টাকা নিয়ে মোট 23848 টাকার কাজ করেছেন। কিন্তু আদতে এই হিসেব পুরোপুরি মিথ্যে বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত সুপারভাইজাররা।

উপরন্তু তাঁরা জানান, আব্দুল মালেক এবং তাঁর স্ত্রী পুরো টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অন্যদিকে স্বপন বারিক, মণিরুদ্দিন মণ্ডল এবং রবীন্দ্রনাথ কোড়া তিনজনে একসাথে স্বীকার করে নিয়েছেন, আব্দুল মালেক এবং তিনজন সুপারভাইজার রীতিমতো যোগসাজশ করে স্বপন বারিকের স্ত্রী শ্রীমতি ফুলেশ্বরী বারিক এবং তার ছেলের নামে ভুয়া মাস্টাররোলে 2016 থেকে 2020 পর্যন্ত 393 টি কাজের মজুরি বাবদ মোট 69005 টাকা নিজেদের পকেটস্থ করেছন।

সূত্রের খবর এখনো পর্যন্ত যত টাকা তাঁরা আত্মসাৎ করেছেন, সব মিলিয়ে টাকার পরিমাণ  92853 টাকা। এই ঘটনা সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চাঞ্চল্য। অন্যদিকে তৃণমূল শিবিরেও শুরু হয়েছে চূড়ান্ত অস্বস্তি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই এই টাকা ফেরত দেবেন বলে সকলের উপস্থিতিতে লিখিতভাবে মুচলেখা দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূল শিবির যেভাবে বর্তমানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে, তাতে কালনায় এই আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান যে আরও জোরালো হবে সে কথা ধরে নেওয়া যায়।

100 দিনের কাজ নিয়ে দুর্নীতি যে চলছিল সে কথা আগেই বলেছিল বিরোধী শিবিরগুলি। কিন্তু সে সময় বিরোধী শিবিরের এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেয় তৃণমূল শিবির বলে জানা গেছে। কিন্তু আখেরে বিরোধীদের কথাই সত্য বলে প্রমাণিত হলো। এর ফলে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল শিবিরকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত অভিযুক্তরা টাকা ফেরত দিলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে শাসক দল সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!