এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > শাসকদলের জবরদস্তি ঘর দখলের অভিযোগ,সমালোচনায় মুখর রাজনৈতিক মহল

শাসকদলের জবরদস্তি ঘর দখলের অভিযোগ,সমালোচনায় মুখর রাজনৈতিক মহল

রাজ্যের শাসকদলের দুর্ব্যবহারের নজির উঠে এলো দুর্গাপুরের কোকাআভেন থানা এলাকায়। শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জোরজবরদস্তি করে তাঁরা ঘর দখল করে রেখেছে। কোনমতেই ঘর ছাড়বে না বলে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় বিরোধী শিবির থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে শাসকমহল থেকে ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে তবেই সত্যতা প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে শাসকদলের বিরুদ্ধে জোর জবরদস্তি করার অভিযোগ ওঠায় রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘর জবরদখল করে অধিকার করার অভিযোগ জানালেন দুর্গাপুরের কোকআভেন থানার গোপীনাথপুর এর বাসিন্দা সুকুমার পাল। তিনি এও জানান ঘর চাইতে গিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকি শুনতে হচ্ছে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার বয়স আশি বছর পেরিয়ে গিয়েছে। হৃদযন্ত্র অস্ত্রোপচার হয়েছে। খুব মানসিক চাপে রয়েছি।”

স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গেছে, সুকুমার বাবুর বাড়ির বাইরের দিকের একটি ঘর ফাঁকা পড়ে থাকতো। আর সেখানেই তৃণমূল কর্মীরা জবরদখল করেছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে সুকুমার বাবু জানিয়েছেন, “পাড়ার ছেলে, তাই আমি দিয়ে দিই।” তিনি আরো বলেন, গত বিধানসভা ভোটের আগে অস্থায়ী দলীয় কার্যালয় করার জন্য নেওয়া হয়েছিল তাঁর ঘর। ঘর নেওয়ার আগে তৃণমূল কর্মীরা তাঁর ছেলেকে লোকাল কারখানায় কাজ দেওয়ার কথা বলেছিল।

যদিও এরপর তিন বছর কেটে যায়। ঘর ছাড়া হয়নি এবং তাঁর ছেলেও কোন কারখানায় কাজ পায়নি। উল্টে ঘর ফেরত চাইলে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সুকুমার বাবু জানান, “বার বার বলেও কোন ফল হয়নি। উল্টে, আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, বেশি চাপাচাপি করলে এখানে বাস করতে দেবেনা। প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।” সুকুমার বাবুর স্ত্রী আরতি দেবী বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। এরকম মানসিক চাপে পড়লে বড় বিপদ ঘটতে পারে। আতঙ্কে রয়েছি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এলাকাবাসীর একাংশ থানার ভূমিকা নিয়ে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সুকুমার বাবু জানিয়েছেন, তিনি সেপ্টেম্বরে ঘর জবরদখল করার অভিযোগ করেন তিন তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। থানায় তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান তিনি। কিন্তু তা সত্বেও পরিস্থিতির কোন হেরফের হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য জানা গেছে, সমস্যা মেটাতে দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

এদিন সম্পূর্ণ ঘটনাটি শুনে তৃণমূল জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়ে জানিয়েছেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এভাবে ঘর দখল করা তৃণমূলের নীতি নয়।” অন্যদিকে, দুর্গাপুর তিন নম্বর ব্লক সভাপতি ভীমসেন মন্ডল জানিয়েছেন, “জেলা সভাপতি বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন আমাকে। দু পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি বৃহস্পতিবার এর মধ্যে বিষয়টি মিটে যাবে।”

তবে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। শাসকদলের এহেন জোর জবর দখল করে এলাকাবাসীকে ভয় দেখানোর ঘটনাকে অনেকেই মেনে নিচ্ছেন না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, শাসকমহল থেকে যদি এখনই এ ধরনের ঘটনা বন্ধ না করা হয় তাহলে জনসংযোগ কোনমতেই তাঁদের সাথে হবে না, যার ফল ভুগতে হবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে। এই ঘটনায় অবশ্য এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফ থেকে কোনো বিবৃতি জারি করা হয়নি। তবে ঘটনা পরম্পরা কোন দিকে এগোচ্ছে, সেদিকেই নজর রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!