বিজেপির মহিলা সাংসদকে ‘অশ্লীল’ আক্রমন হেভিওয়েট তৃণমূল মন্ত্রীর! উত্তাল হচ্ছে রাজ্য-রাজনীতি তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি October 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের হাতে গুনে আর মাত্র কয়েক মাস বাকি বাংলায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই বাংলায় শাসক-বিরোধী দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। অন্যদিকে বিধানসভার নির্বাচনকালে জনগণের মন পেতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলার রাজনৈতিক দলগুলি। তবে একে অপরের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ক্রমশ বেড়ে চলেছে কুকথার ঝড়। এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমানে কুকথা কিংবা অবমাননাকর মন্তব্য বাংলার রাজনীতির অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে সোমবার সপ্তগ্রামে একটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। আর এই কর্মীসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সোমবার সপ্তগ্রামের কর্মীসভায় রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর একদিকে সিপিএম ও বিজেপির এবং অন্যদিকে দলের মধ্যে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে- তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরণ করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন। একইভাবে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তৃণমূল মন্ত্রী আক্রমণ করেছিলেন সোমবার। এদিন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত দাবি করেন, করোনাকালে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 192 দিন যাবত রাস্তায় নেমে সাধারণের খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি নিজেও তাঁর বিধানসভার খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানান। এরপরেই তিনি হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি কটাক্ষ করে বলেন তিনি কোথায়? তবে সেক্ষেত্রে লকেটের প্রতি যে সম্বোধন মন্ত্রী করেছেন তা শালীনতার সীমা লংঘন করেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাল্টা বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এদিন তৃণমূলের দিকে কটাক্ষ হেনে বলেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় থাকবে না আর তারপর জনগণই তৃণমূলের বিচার করবে। অন্যদিকে লকেটের প্রতি মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত যে সম্বোধন করেছেন তা নিয়ে এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় জানান, তৃণমূল নেতারা কখনোই মহিলাদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে পারেন না। একইভাবে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় তীব্র কটাক্ষ করেন শাসক দলকে। তিনি জানান, গোটা হুগলি জেলা জুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমাগত প্রকাশ্যে আসছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে হুগলি জেলায় তৃণমূল জোরদার ধাক্কা খায় গেরুয়া শিবিরের কাছে। হুগলি লোকসভা তৃণমূলের হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আরামবাগ লোকসভায় কোনরকমে জিতে মুখ রক্ষা করেছে শাসক দল। হুগলি লোকসভার সিঙ্গুরেও ব্যাপক ভোটে জেতে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে শ্রী তপন দাশগুপ্ত সোমবারের কর্মীসভায় নিজেকে মাস্তান বলে হুংকার দেন। মন্ত্রীর সেই হুংকারকেই বিজেপি নেত্রী কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূলে বরাবরই মস্তান ও তোলাবাজদের স্থান সর্বাগ্রে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূল এবং বিজেপির লড়াই সর্বাগ্রে চোখে পড়ছে। তবে এই দুই দলের পক্ষেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে একে অপরকে কোণঠাসা করতে বিভিন্ন কুকথার অবতারণা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপনার মতামত জানান -