এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শাসকদলের রাজ্য সভাপতির মুখেও “কোম্পানির” কথা, জল্পনা রাজ্যে!

শাসকদলের রাজ্য সভাপতির মুখেও “কোম্পানির” কথা, জল্পনা রাজ্যে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের মুখে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারা এখন দলত্যাগ করতে শুরু করেছেন। আর বিজেপিতে নাম লিখিয়ে সেই সমস্ত নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসকে “প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি” বলে কটাক্ষ করেছেন। যেখানে দলত্যাগী নেতাদের তোপের মুখে পড়তে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

নিজেদের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেই সমস্ত নেতারা বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলে এই দুইজনের বক্তব্যের গুরুত্ব ছাড়া কারও কোনো গুরুত্ব নেই। তবে সেই সমস্ত নেতাদের এই বক্তব্যকে খন্ডন করে পাল্টা মাঠে নামতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুব বাহিনীকে। কিন্তু এবার সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতির গলায় শোনা গেল “কোম্পানির” কথা।

যেখানে দলের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের এক সম্পাদককে ভূষিত করতে গিয়ে “রাজ্য কোম্পানির” সম্পাদক বলে মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য। আর তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর গঙ্গারামপুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য।

আর সেই সভাতেই বক্তব্য রাখতে উঠে একের পর এক নেতাদের নাম নিতে দেখা যায় শাসকদলের এই হেভিওয়েট নেতাকে। আর হঠাৎ করেই রাজ্য কমিটির অন্যতম সম্পাদকের নাম নেওয়ার সময় “রাজ্য কোম্পানি” বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি। স্বাভাবিক ভাবেই দলের শাখা সংগঠনের প্রধানের গলায় এই রকম মন্তব্য শুনতে পাওয়ার এখন রীতিমত জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, তাহলে কি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য্য অনুভব করতে শুরু করেছেন যে, দলত্যাগী নেতারা তৃণমূলকে যেভাবে “কোম্পানি” বলে আক্রমণ করেছেন, তা অত্যন্ত সত্যি কথা? তাই বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই সত্যি কথাই অকপটে স্বীকার করতে দেখা গেল তাকে? বিশ্লেষকদের দাবি, বিরোধীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস দলে আর কেউ থাকবে না। কিছুদিন পরেই এই দলের সবাই বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবে। আর এই পরিস্থিতিতে “কোম্পানি” নামক শব্দ প্রয়োগ করে বিরোধীদের হাতেই নয়া হাতিয়ার তুলে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ এই হেভিওয়েট নেতা।

তবে অনেকে আবার বলছেন, বক্তব্য রাখতে গিয়ে হঠাৎ করেই শব্দ প্রয়োগ করে ফেলেছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। এর মধ্যে দোষের কিছু নেই। তাই এতে জল্পনা খোঁজা বৃথা। তবে যে যাই বলুন না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বের, তা বলাই যায়। দলের অত্যন্ত হেভিওয়েট নেতার গলাতেও যেভাবে বক্তব্যের মধ্যে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে এই এই ধরনের শব্দ বেরিয়ে এল, তাতে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ল ঘাসফুল শিবিরের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!