এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > শাসকপক্ষের ৯ বিধায়ক হঠাৎ উড়ে গেলেন দিল্লি! দলবদলের তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

শাসকপক্ষের ৯ বিধায়ক হঠাৎ উড়ে গেলেন দিল্লি! দলবদলের তীব্র জল্পনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে জেএমএম নেতৃত্বাধীন মহাজোট করেছিল সরকার গড়ার স্বার্থে। কিন্তু এবার সেই মহাজোটের মধ্যেই শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। ঝারখন্ড সরকারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তীব্র বিক্ষোভ জানিয়েছে মহাজোটের অংশীদার কংগ্রেসের ন জন বিধায়ক। এমনকি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে নালিশ করতে তাঁরা পৌঁছে গেছেন সোজা দিল্লীতে। সম্প্রতি ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বেশ কিছু কাজকর্ম কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়কের পছন্দ হচ্ছেনা।

অভিযোগ, প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁদের বাধা দিচ্ছেন ঝাড়খন্ড কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক। আর তাই এবার রাজ্যসভার সদস্য ধীরজ প্রসাদ সাহুর নেতৃত্বে কংগ্রেসের তিন বিধায়ক ইরফান আনসারি, রাজেশ কচ্ছপ, আর উমাশঙ্কর অকেলা সোজা পৌঁছে গেলেন দিল্লিতে আহমেদ প্যাটেল এবং গোলাম নবী আজাদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। সূত্রের খবর, তিন বিধায়ক কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা আহমেদ প্যাটেল এবং গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইতিমধ্যেই ঝারখন্ড ফিরেছেন।

যদিও দিল্লিগামী বিধায়করা এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে নারাজ। তবে জানা গেছে, কংগ্রেস বিধায়করা শুধু হেমন্ত সোরেন নয়, তার সঙ্গে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক আর পি সিং এর বিরুদ্ধেও নালিশ জানিয়ে এসেছেন। বিক্ষুব্ধ বিধায়করা জানিয়েছেন, কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সরকার এবং মন্ত্রীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার যেকোনো রকম চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছেন। আর তার জন্য বিক্ষুব্ধ বিধায়করা কংগ্রেস পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে সোজা রাষ্ট্রীয় মহাসচিব কে সি বেনুগোপাল, গুলাম নবি আজাদ এবং আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমস্যা জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আরও জানা গেছে, রাজ্যসভার সদস্য ধীরজ প্রসাদ সাহু এবার থেকে সরকারের ওপর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চাপ সৃষ্টি করার কাজটি চালিয়ে যাবেন দায়িত্ব নিয়ে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়করা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি যদি না মানা হয়, তাহলে কিন্তু তাঁরা দল বদলে ফেলতে পারেন। অন্যদিকে ঝাড়খন্ডের কংগ্রেস সভাপতি কিছুদিন আগেই বিজেপি শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানিয়েছেন, ঝারখন্ড সরকার ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির।

অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়করা ভবিষ্যতে ঝাড়খন্ড সরকারের সমস্যা বাড়াতে পারে। আর তাই সমস্যা মেটানোর জন্য এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর আশু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আপাতত ঝাড়খন্ড মহাজোট সরকারে যে ফাটল দেখা দিয়েছে তা কি এত সহজে মেরামত হবে? তা নিয়েও থেকে যাচ্ছে প্রশ্ন। এবং সেই ফাটল থেকে অন্য কোন দল সুযোগ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত ওয়াকিবহাল মহলের নজর টিকে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!