এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেসুরো নেতা-নেত্রীদের দলে টিকিয়ে রাখতে শেষ ভরসা হতে চলেছেন সেই অভিষেক, আবারো দিলেন প্রমান!

বেসুরো নেতা-নেত্রীদের দলে টিকিয়ে রাখতে শেষ ভরসা হতে চলেছেন সেই অভিষেক, আবারো দিলেন প্রমান!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের বেসুরো বক্তব্যে। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের ভাঙন আবারও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অন্যদিকে শতাব্দী রায়কে গেরুয়া শিবির থেকেও স্বাগত জানানো হয়। প্রসঙ্গত, শতাব্দী গতকাল একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজের ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। শতাব্দী নাম না করেই অভিযোগ করেন তাঁকে কাজ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি শনিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা জানান। আর তারপরেই রাজ্য তৃণমূল মহলে শুরু হয় ব্যাপক তোড়জোড় শতাব্দীকে আটকানোর। পাশাপাশি এবার আভিষেক ব্যানার্জ্জী শাতাব্দী রায়ের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আজ দিনভর শতাব্দীকে নিয়ে চলেছে জোরদার চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে। সারাদিন ধরেই শতাব্দীকে একের পর এক তৃণমূল নেতা ফোন করে গেছেন বলে জানা গেছে। এমনকি রাজ্যের তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ সরাসরি শতাব্দী রায়ের আনোয়ার শা রোডের বাড়িতে পৌঁছে যান। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, শতাব্দীর সঙ্গে কুণালের বৈঠক চলাকালীনই মুকুল রায়ের ফোন আসে শতাব্দীর কাছে। ফলে জল্পনা আরও প্রবল হয় যে মুকুল রায়ের হাত ধরেই শতাব্দি রায় গেরুয়া শিবিরে প্রবেশ করতে চলেছেন। অন্যদিকে তৃণমূল শিবির থেকে সৌগত রায় থেকে শুরু করে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন প্রত্যেকেই শতাব্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে দিনের শেষে কুণাল ঘোষের সঙ্গে শতাব্দীকে দেখা গেল অভিষেক ব্যানার্জীর অফিস অভিমুখে যাত্রা করতে। সূত্রের খবর, শতাব্দী রায়ের দীর্ঘদিনের বন্ধু কুণাল ঘোষ। দীর্ঘক্ষণ ধরে শতাব্দীর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে কুণাল অবশেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলাতে রাজি করায়। আর তারপরেই বৈঠকের ব্যবস্থা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রীটের অফিসে। অন্যদিকে শনিবার শতাব্দী রায়ের দিল্লি যাওয়ার ঘোষণা করে দিয়েছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও তিনি ইতিবাচক ইঙ্গিত করেন। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর শতাব্দী তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন কিনা সেদিকে এখন কড়া নজর রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।

অন্যদিকে সৌগত রায় ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শতাব্দী রায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। তবে শতাব্দীকে ফোনে পাওয়া যায়নি বলে মুখ্যমন্ত্রী হয়তো আবারও ফোন করবেন। সব মিলিয়ে দল ভাঙার তালিকা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে রাজ্যের শাসক শিবিরের যা একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত দুঃসংবাদ বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত দেখার, তৃণমূল নেতারা সাংসদ শতাব্দী রায়কে বুঝিয়ে দলভাঙা ঠেকাতে পারেন কিনা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!