এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হল ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ককে, অস্বস্তি শাসকদলে!

শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হল ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ককে, অস্বস্তি শাসকদলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার প্রয়াত নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হেনস্থা মুখে পড়তে হল ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ককে। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন খড়ার পৌরসভা প্রাক্তন পৌরপ্রধান উত্তম মুখোপাধ্যায়। সোমবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।

মঙ্গলবার তাঁর মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হলে সেখানে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা। আর সেখানেই নিজের দলের নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন সেই পৌরসভার প্রশাসক তথা ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই। কিন্তু বিধায়ক উপস্থিত হতেই তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রয়াত নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায়।

কিন্তু কেন এভাবে স্থানীয় বিধায়ক নিজের দলের প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হলেও তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হল? জানা গেছে, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী হওয়ার কারণে এই উত্তম মুখোপাধ্যায়কে পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। আর উত্তমবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার পর সেখানে দায়িত্বে বসানো হয় ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলইকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এদিন উত্তমবাবুর মৃত্যুর পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সেই শংকরবাবুকে ঘিরে তার অনুগামীরা ব্যাপক প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। যার ফলে কার্যত চাপে পড়ে ফুলের মালা নিয়ে মৃতদেহে শ্রদ্ধা না জানিয়েই ফিরে যেতে হয় ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ককে। কিন্তু এভাবে যেভাবে বর্তমান বিধায়ককে প্রয়াত নেতার মরদেহে মালা পর্যন্ত দিতে দেওয়া হল না, তাতে এলাকায় পরিস্থিতি কার্যত থমথমে হয়ে গিয়েছে।

একাংশের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, এক নেতা মারা গেলেও সেখানে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট হিসেবে দেখা দিচ্ছে। স্বভাবতই এমনি সময় তাহলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি আকার ধারণ করতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কার শেষ নেই বিশেষজ্ঞদের। যদিও বা এই ব্যাপারে ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই কোনো মন্তব্য করেননি।

কিন্তু এই গোটা বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতেই পারেন। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল, তা দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হবে।” সব মিলিয়ে ঘাটালের মাটিতে এই ধরনের ঘটনা নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলে দিল ঘাসফুল শিবিরকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!