এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > শেষদিনেও প্রচারে ঘাটতি, ফাঁকা মাঠে সভা করতে হল অমিত শাহকে! কটাক্ষ বিরোধীদের!

শেষদিনেও প্রচারে ঘাটতি, ফাঁকা মাঠে সভা করতে হল অমিত শাহকে! কটাক্ষ বিরোধীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে কথা। তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাজ্যে এক দিন অন্তর অন্তর বিভিন্ন কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। স্বাভাবিক ভাবেই এত বড় হাইপ্রোফাইল নেতারা রাজ্যে এসে সভা-সমিতি করতে শুরু করায় উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। রাত পেরিয়ে গেলে পাঁচ জেলার 30 আসনে প্রথম দফার ভোট।

তাই প্রথম দফার নির্বাচনের আগে শেষ বেলার প্রচারে এসে ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই মতো চার জেলাকে নিয়ে সভা করার পরিকল্পনা হয়েছিল। যেখানে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইলে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরের দলীয় প্রার্থী এবং পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডিতে জোট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাতে দেখা যায় তাকে। কিন্তু বাঘমুন্ডি মাঠে যখন অমিত শাহ বক্তব্য রাখছিলেন, তখন সেখাকার মাঠ সেভাবে পরিপূর্ণ ছিল না বলেই দাবি করছেন একাংশ। যার ফলে বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করতে আসলেও যেভাবে তার সভায় ভিড় হলো না, এখন তা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

একাংশের প্রশ্ন, অমিত শাহের মত হেভিওয়েট নেতার সভায় কেন ভিড় নেই! তাহলে কি বিজেপির জনসমর্থন কমছে? যেখানে বিজেপি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে কার্যত তৎপর বলে দাবি করছে, সেখানে বিজেপির এই শীর্ষ নেতা আসা সত্ত্বেও কেন সেখানে ভিড় হল না, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। তৃণমূলের দাবি, নরেন্দ্র মোদী হোক বা অমিত শাহ, বাংলার মানুষ বিজেপিকে বিশ্বাস করেন না। তাই তাদের সভায় যত বড়ই হেভিওয়েট আসুক না কেন, ভিড় হচ্ছে না। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপিকে এবার মানুষ সমর্থন করবেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের লড়াই অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। বিগত 10 বছর ধরে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ধীরে ধীরে বিরোধীদলের জায়গায় চলে আসা ভারতীয় জনতা পার্টির লড়াই কার্যত দেখার মত হবে বলেই মনে করছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে কোন দলের নির্বাচনী জনসভায় সবথেকে বেশি ভিড় হয়, তার দিকে নজর রয়েছে সকলের। তবে যেভাবে শেষ মুহূর্তের প্রচারে প্রথম দফার ভোটের আগে অমিত শাহের সভায় ভিড় হল না বলে দাবি করা হচ্ছে, তাতে কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এসব বলে গেরুয়া ঝড়কে রোখা যাবে না। মানুষের বিজেপির প্রতি সমর্থন রয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব সময় জনসমাগম শেষ কথা বলে না। অনেক ক্ষেত্রে ভোটবাক্স খোলার পর যে দলের সভা সমিতিতে বেশি লোক আসে, তারা সেভাবে সমর্থন পান না। তাই মানুষ কি করবেন, তারা ভোটবাক্সে কাকে সমর্থন করবেন, তা 2 মে ভোট গণনার পরেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!