এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শিবসেনার চাপ কাটাতে ‘শক্তিবৃদ্ধির’ পথে বিজেপি! পিছিয়ে নেই ঠাকরে-শিবিরও!

শিবসেনার চাপ কাটাতে ‘শক্তিবৃদ্ধির’ পথে বিজেপি! পিছিয়ে নেই ঠাকরে-শিবিরও!


গত 21 অক্টোবর মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের শেষে ফল প্রকাশে দেখা যায়, বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করতে পারেনি। বদলে বিজেপি শিবসেনা জোটবদ্ধভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেরিয়েছে। আর তারপর থেকেই অর্থাৎ নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকেই মহারাষ্ট্রে শুরু হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে তুমুল বিতর্ক। দুই জোট শরিকের মধ্যে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, এই নিয়ে চলছে টানাটানি। শিবসেনা যেভাবে বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করছে ঠিক একইভাবে বিজেপিও শিবসেনাকে চাপে রাখতে শক্তিবৃদ্ধির পথে নেমেছে।

নির্বাচনের আগে থেকেই শিবসেনার শর্ত ছিল ফিফটি-ফিফটি সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের দাবি জানিয়ে শিবসেনা যেভাবে বিজেপির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে, সেইসব কাটাতে বিজেপি ঠিক করেছে দিওয়ালির পর মুখ্যমন্ত্রী পদের ঘোষণা হবে। মধ্যবর্তী সময়ে বিজেপি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিজ দলের জন‍্য সমর্থন আদায়ের। তারা যোগাযোগ করছে বিভিন্ন নির্দল বিধায়কদের সাথে। অন্যদিকে নির্দল বিধায়করাও দুই তরফেই তাঁদের সমর্থনের সিদ্ধান্ত জানাতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যে ভায়ান্দারের নির্দল বিধায়ক গীতা জৈন এবং বার্শীর বিধায়ক রাজেন্দ্র রাউতের সমর্থন জোগাড় করতে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। এরমধ্যে নির্দল বিধায়ক গীতা জৈন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা। নির্বাচনের আগে তাকে টিকিট না দেওয়ায় তিনি দল থেকে বেরিয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জিতেও যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শিবসেনাও পিছিয়ে নেই তাঁরাও অমরাবতীর বিদর্ভ এলাকার আচলপুরের বিধায়ক বাচ্চু কাডু এবং মেলঘাটে রাজকুমার প্যাটেল শিবসেনাকে সমর্থন জানিয়েছেন।এবারের বিধানসভার নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে গন্ডগোল লাগে আসনসংখ্যা নিয়ে। কিন্তু সেই গুঞ্জন ধামাচাপা পড়ে উদ্ধব ঠাকরে জোট গড়ার বার্তায়।

 

তবে নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা কমায় এবার শিবসেনা তাঁদের দাবি মানার জন্য চাপ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এর পক্ষ থেকে জানা গেছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি মহারাষ্ট্রের পদ দখল নিতে চলেছেন।তবে এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক দেখা গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যে চাপানউতোর চলছে, তা নিয়ে চিন্তিত সবাই।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ যদি ফিফটি-ফিফটি দাবি মেনে করা হয়, তাহলে রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন প্রশাসন। আপাতত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে বিজেপির হেডকোয়ার্টার কোন বিশেষ পদক্ষেপ নেয় দীপাবলীর পরে, সেদিকেই তাকিয়ে এখন দেশের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!