এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > শিবসেনার দাবি নিয়ে এবার মুখ খুললেন অমিত শাহ

শিবসেনার দাবি নিয়ে এবার মুখ খুললেন অমিত শাহ


সরকার গঠনের নাটকে নয়া মোড় মহারাষ্ট্রে। ইতিমধ্যে শিবসেনা এবং এনসিপিও যথাক্রমে সরকার গঠনের জন্য দাবি পেশ না করতে পারায় মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন এবং মোদির মন্ত্রিসভা তা মেনে নিয়েই মহারাষ্ট্রে আগামী ছয় মাসের জন্য রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেওয়া হয়েছে। আর এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিবসেনা। তাঁদের তরফে জানানো হয় রাজ্যপালের কাছে তাঁরা 48 ঘণ্টার সময় চেয়েছিল, কিন্তু রাজ্যপাল তা দিতে অস্বীকার করেন। ফলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যায়। শিবসেনা অভিযোগ করে, রাজ্যপাল পক্ষপাতিত্ব করেছেন।

এবার মহারাষ্ট্রে বিরোধীদের নিশানায় রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছে মহারাষ্ট্রের সমস্ত বিরোধী দলগুলি। কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্য বিজেপিকে রাজ্যপাল দিয়েছিলেন দু’দিন সময়। কিন্তু অন্যদিকে বিরোধী দলগুলিকে একদিন সময় দেওয়া হয়েছিল এবং এনসিপির সরকার গঠন করার সময়সীমা শেষ না হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে দেওয়া হল। কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এইবার আসরে নামলেন স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

শিবসেনার সরকার গড়তে ফিফটি ফিফটি দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়ে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জানান, “জোট জিতলে ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এটা ভোটের আগেই ঠিক হয়। এই কথা আমি ও প্রধানমন্ত্রী বহুবার বলেছি। তখন কেউ কোনো আপত্তি করেনি। এখন ওরা অন্য কথা বলছে। ভোটের পর অন্য দাবি জানাচ্ছে। শিবসেনার এই নতুন দাবি আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। আমরা অন্তর্বর্তী ভোটের পক্ষে নই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্যপালের দিকে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ নস্যাৎ করে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, “রাজ্যপাল সংবিধান মেনেই কাজ করেছেন। এনসিপি চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছিল রাত সাড়ে আটটার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারবে না। তাহলে আর কেন রাজ্যপাল রাত 8:30 পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন? রাজ্যপাল কোনো তাড়াহুড়ো করেননি। 18 দিন সময় দিয়েছেন…অনেকে বলছেন, একে একদিন, ওকে দুদিন কেন? আরে সবাইকেই সময় দিয়েছেন। এখনও সময় আছে। আজও কারোর কাছে সংখ‍্যা থাকলে রাজ্যপালের কাছে দাবি জানাতে পারেন।”

গত মঙ্গলবার থেকে মহারাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে আগামী ছয় মাসের জন্য। তবে এর মধ্যে যদি কোন দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে তাহলে তাঁর পক্ষে সরকার গঠন করা অসম্ভব নয়। এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ হলেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই রাষ্ট্রপতি শাসন প্রত্যাহার হয়ে যাবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার পরেই গতি বেড়েছে বিরোধী দলগুলোর মধ‍্যে আলোচনার।

সূত্রের খবর, আগে এনসিপি’র প্রধান শারদ পাওয়ারের মাধ্যমে কংগ্রেস ও শিবসেনার মধ্যে আলোচনা চলছিল। এবার বর্তমান পরিস্থিতিতে সরাসরি কংগ্রেস শিবসেনা প্রধানের সাথে আলোচনায় বসেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে একটি দীর্ঘ আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানেই প্রথম দুই দলের মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে সরাসরি ও বিস্তারিত আলোচনা হয়। কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানা গেছে। আপাতত পরিস্থিতি কোন দিকে এগোচ্ছে সেদিকে নজর রাখবে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!