এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > শিকেয় সচেতনতা বার্তা, ভোটের দায়িত্বে করোনা আক্রান্ত আশাকর্মী!

শিকেয় সচেতনতা বার্তা, ভোটের দায়িত্বে করোনা আক্রান্ত আশাকর্মী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের মধ্যে বাংলায় ভয়ঙ্কর ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা ভাইরাস। গোটা দেশে এই ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে বারবার নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করেছে আদালত। এমনকি গণনার দিন যারা এজেন্ট হিসাবে গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন, তাদের প্রত্যেকের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তবে অষ্টম দফার নির্বাচনে কমিশনের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যতই সচেতনতা জারি করা হোক না কেন, এবার ভোটের দায়িত্বে দেখা গেল এবার করোনা আক্রান্ত এক আশা কর্মীকে। যার ফলে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এমনিতেই নির্বাচনী প্রচারে বারবার নির্বাচন কমিশনের অনমনীয় মনোভাবের জন্য বাংলায় করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশি দফায় ভোট করার কারণে তা আরও বাড়তে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আর এবার অষ্টম দফার নির্বাচনে করোনা আক্রান্ত আশা কর্মীকে ভোটের কাজে নিয়োগ করার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন মালদহ ভোটের দায়িত্বে দেখা যায় এক করোনা আক্রান্ত আশাকর্মীকে। জানা গেছে, তার স্বামী বর্তমানে জ্বরে ভুগছেন। এছাড়াও তার 14 বছরের ছেলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। কিন্তু কেন তিনি এভাবে ভোটের ডিউটি করছেন? বারবার যেখানে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি ভোটের ডিউটিতে কেন নিযুক্ত হলেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই মহিলা বলেন, “এই গোটা বিষয়টি আমল দিতে চাননি বিডিও এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। উল্টে ভোটের ডিউটি করতে না চাওয়ার জন্য তার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।” স্বাভাবিক ভাবেই নির্বাচন কমিশন মুখে সচেতনতার বার্তা দিলেও, প্রশাসনের আধিকারিকরা যেভাবে করোনা আক্রান্ত এক মহিলাকে ভোটের কাজে নিযুক্ত করার জন্য হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠল, তাতে রীতিমত গোটা পরিস্থিতি জলঘোলা হতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এমনিতেই ভোটের সময় কমিশন কেন করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিধি-নিষেধ জারি করছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল হাইকোর্ট। যার পরে সেই প্রচার প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ভোটের দিন যেভাবে করোনা রিপোর্ট পজেটিভ থাকা সত্ত্বেও, এক আশাকর্মীকে সেই ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হল, তাতে কমিশন যে এখন প্রবল সমালোচনার মুখে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, এই গোটা ঘটনায় এবার নির্বাচন কমিশনকে নানা মহলের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা নির্বাচন কমিশনের আওতায় চলে যায়। সেদিক থেকে করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরেও এই মহিলাকে কেন স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা ভোট কর্মী হিসেবে কাজে লাগালেন, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেন কাজ করতে না পারার কথা বললেও, তাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে! সেটা নিয়েই এখন চর্চা শুরু হয়েছে গোটা মালদহ জেলাজুড়ে। যেভাবে করোনা আক্রান্ত এই মহিলাকে ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হল, তাতে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা যদি আবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, তাহলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের এত সচেতনতা সত্ত্বেও, এই ধরনের গা ঢিলেমি মনোভাব এখন নানা মহলে প্রশ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!