এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ, কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার! জেনে নিন!

শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ, কড়া প্রতিক্রিয়া মমতার! জেনে নিন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহুদিন পরে রাজ্য শিক্ষক নিয়োগের দরজা খুলে গিয়েছিল। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর সম্প্রতি প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিকে ব্যাপক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে বেকার যুবক-যুবতী থেকে শুরু করে চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে আশার আলো তৈরি হয়। এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে উচ্চ প্রাথমিকে শূন্য পদের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই আদালতে দায়ের হয় মামলা। যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার হাইকোর্টের পক্ষ থেকে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের ব্যাপারে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

আর এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার পরেই সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্ন শুনে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করার সাথে সাথেই এভাবে মামলা করা হচ্ছে বলে গোটা বিষয়কে চক্রান্তের সঙ্গে তুলনা করলেন তিনি। পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছেলেখেলা করা হচ্ছে বলেও দাবি করতে দেখা গেল তাকে। অর্থাৎ সরকারের সদিচ্ছা থাকলেও কেউ বা কারা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে চাকরির পথ বন্ধ করতে চাইছে বলেই বোঝানোর চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, বুধবার এই ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন শোনার সাথে সাথেই বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সাত বছর ধরে এই মামলা আদালতে আছে আদালতই তো নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ করেছি। তার পরেও আবার মামলা হল। কারা এই মামলা করছে? আদালত নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। কিন্তু এই মামলাগুলো কিছু হিংসুটে, কুচুটে রাজনৈতিক নেতা করছে। এরা কি সমাজের বন্ধু? এত ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবে খেলা উচিত নয়। যখনই শিক্ষক নিয়োগের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে, তখনই মামলা করে দিচ্ছে। বিগত তিন-চার বছর ধরে এই ঘটনা ঘটেই চলেছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী এই ব্যাপারে বড় ঘোষণা করেছিলেন। যার জেরে চাকরির দরজা খুলে গিয়েছিল রাজ্যে। কিন্তু তার মাঝেই ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ হতে না হতেই আদালতে মামলা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি শিক্ষক নিয়োগের দিকে বড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে। তাই এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাকারীদের একহাত নিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

তৃণমূলের একাংশ বলছেন, রাজ্যে চাকরি না হওয়ার কারণে বারবার প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এক্ষেত্রে রাজ্যে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে বলে আন্দোলনে নামতে দেখা যায় বিরোধীদের। কিন্তু রাজ্য সরকার যখন চাকরির ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে এবং বেকার যুবক-যুবতীদের মনে আশার আলো ফোটাতে তৎপর, ঠিক তখনই মামলা করে সেই চাকরির রাস্তা বন্ধ করার উদ্দেশ্য কি! এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্বেও মামলাকারীরাই এই ধরনের কাজ করে বেকার যুবক-যুবতীদের সর্বনাশ করছে বলে দাবি শাসকদলের।

হাইকোর্টের পক্ষ থেকে স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার পর সেই একই কথা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বারবার এক্ষেত্রে হাইকোর্টকে তিনি কোনোভাবেই দায়ী করছেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মামলাকারীরা যে রাজ্য এবং বেকার যুবক-যুবতীদের প্রধান শত্রু, তা নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। সব মিলিয়ে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করলেও, হাইকোর্টের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার পর নতুন করে এই ব্যাপারে কোনো রাস্তা খোলে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!