পিআরটি স্কেল নিয়ে রাজ্য সরকারের ঘুম ওড়াতে এবার হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য February 21, 2019 প্রিয় বন্ধু বাংলা এক্সক্লুসিভ – নিজেদের পূর্ব ঘোষণা মত রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে পিআরটি স্কেল না পাওয়ার যন্ত্রনা দিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারী প্রিয় বন্ধু বাংলাই প্রথম এক প্রতিবেদনে এই মামলা নিয়ে জানায় – আর আমাদের সেই দাবিকে সত্যি করে আজ আইনজীবী ফিরদৌস শামীম ও শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলামের হাত ধরে কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা গৃহীত হল। এই প্রসঙ্গে মইদুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ তৈরিই করা হয়েছিল রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে বা শিক্ষকদের উপরে কোনো বঞ্চনা হলে তার প্রতিকার করা এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অধিকার রক্ষা করার জন্য। আর তাই আমরা এতদিন যাবৎ, একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি – তা সে শিক্ষকদের ডিও/বিএলও/সুপারভাইজারের ডিউটির যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দেওয়ায় হোক অথবা নিওস পরীক্ষার ক্ষেত্রে বাংলার শিক্ষকদের ক্ষেত্রে বঞ্চনাই হোক। কিন্তু, এতদিন যাবৎ আমরা পিআরটি স্কেল নিয়ে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের নেতৃত্বে কিছু করি নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মইদুলবাবু আরও বলেন, এর মূল কারণ হল – এই পিআরটি স্কেল নিয়ে অন্যান্য সংগঠন কাজ করছিল এবং আমরা তাতে মানসিকভাবে সমর্থনও জানিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্প্রতি আমরা হাজার হাজার ফোন পেয়েছি এবং সেখান থেকেই জানতে পেরেছি যে পিআরটি নিয়ে এর আগে দু-দুটি মামলার নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে বহু টাকা তোলা হলেও, গত এক বছরে সেই মামলাগুলির একটিতেও একটিও শুনানি হয় নি। ফলে, রাজ্যের শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে পড়ছিলেন ক্রমশ। আর তাই, রাজ্যের সমস্ত প্রান্তের শিক্ষকদের ঐকান্তিক অনুরোধে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ এগিয়ে এল এই আইনি লড়াইয়ে। মইদুলবাবুর বক্তব্য, মামলাটি আজ কলকাতা হাইকোর্টে গৃহীত হয়েছে এবং শীঘ্রই এর শুনানি হবে। আর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে সংগঠনের নামে, যাতে এই মামলার রায়ের ফলে রাজ্যের শিক্ষকরা সার্বিকভাবে এর সুবিধা পান। এই মামলা ব্যক্তিগত বা দলগত ভাবে করা হলে সংশ্লিষ্ট ‘পিটিশনাররা’ শুধুমাত্র এই রায়ের ফল পেতেন। সবথেকে বড় কথা, শিক্ষক স্বার্থের কথা ভেবে এবং শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনায় অনুদান দিয়েও ফলপ্রসূ আন্দোলনের অভাবে শিক্ষক মহলের যে হতাশা তার পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের সংগঠনের তরফে এই মামলায় ‘কোনো অনুদান ছাড়াই মামলা লড়ার’ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করব, বিগত দিনের মতোই আবারো শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সংগঠন ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিতে পারবে। আপনার মতামত জানান -