এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পিআরটি স্কেলের পর এবার শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ রাজ্যজুড়ে শিক্ষকদের ‘অবৈধ’ বদলি নিয়ে ঝড় তুলবে

পিআরটি স্কেলের পর এবার শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ রাজ্যজুড়ে শিক্ষকদের ‘অবৈধ’ বদলি নিয়ে ঝড় তুলবে


শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ তথা সংগঠনের শীর্ষনেতা মইদুল ইসলাম আর শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষা বহির্ভূত কাজের প্রতিবাদ বা রাজ্যজুড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার অধিকার রক্ষার জন্য করে যেন এখন এক হয়ে গেছে। একের পর এক শিক্ষকদের স্বার্থে লড়াইয়ে আদালত থেকে রাস্তা – ঝড় তুলে দিচ্ছেন মইদুল ইসলাম ও তাঁর নেতৃত্ত্বে শাশ্বত ঘোষ, জয়ন্ত মুখার্জি, চন্দন চ্যাটার্জি, সুজিত দাস, বিশ্বজিত সর্দার, রতন বিশ্বাসের মত একঝাঁক তরুণ তুর্কি। কিছুদিন আগেই কলকাতার রাজপথে – রাজ্যের লক্ষ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষকের জন্য পিআরটি স্কেলের দাবিতে ঝড় তুলেছিলেন উস্থির ব্যানারে ও পৃথা বিশ্বাস, সন্দীপ ঘোষ, বেলা সাহা ও নাফিসা মেহেমুদের নেতৃত্বে।

যার জেরে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় কখনো প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের ‘যোগ্যতা’ নিয়ে, কখনো অন্যরাজ্যে পিআরটি স্কেলের তথ্যপ্রমাণ জমা দিতে বলেছেন তো কখনো বলেছেন রাজ্যের কোষাগার খালি – তাই এখনই পিআরটি স্কেল দেওয়া যাবে না। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠনের এক জেলা সভাপতি তো প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন, শিক্ষকদের এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতেই নাকি রাজ্যের বেতন কমিশনের মেয়াদ ছমাস বৃদ্ধি করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী – যে দাবি দলীয়স্তরে ‘অস্বীকার’ করে শাসকদলের কোনো বিবৃতি এখনো আমাদের হাতে এসে পৌঁছায়নি।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর এইসবের রেশ মিটতে না মিটতেই গতকাল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আবারো ঝড় তুলে দিলেন মইদুল ইসলামের নেতৃত্ত্বে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। হাইকোর্টের লড়াইয়ে ডিও, বিএলও ডিউটি নিয়ে ঐতিহাসিক জয় পেলেও – প্রাথমিক শিক্ষকদের নতুন করে ১৫ দিনের অতিরিক্ত এই ডিউটি দেওয়া হয়। আর সেই নির্দেশিকা হাতে আসতেই গতকাল সরাসরি নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ধর্ণা-কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সিইওর সাথে কথা বলে আসেন মইদুলবাবুরা। আর, সারাদিনের লড়াইয়ের শেষে সন্ধ্যেবেলায় অবশেষে নিজেদের স্বপক্ষে শিক্ষকদের স্বার্থরক্ষায় দাবি আদায়ে সক্ষম হয় শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ।

আর এবার তার থেকেও বড় ব্যাপার শিক্ষকদের ‘অবৈধ বদলির’ লড়াই নিয়ে আইনি ও পথের লড়াইয়ে নামতে চলেছেন মইদুল ইসলামরা। মইদুলবাবুর নিজের কথায় – মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো, “শিক্ষা দপ্তরে ঘুঘুর বাসা” আবার শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের অসম্মান করে বলছেন “অযোগ্য”। বর্তমানে “শিক্ষক আন্দোলনের” গতি এবং শাসকদলের নেতাদের সাথে আমলাদের যোগসাজস, সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষার স্বার্থ উপলক্ষ করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে অবৈধভাবে সারপ্লাস ট্রান্সফার করছে। “শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ” রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন ইস্যুতে শিক্ষার অধিকার রক্ষার্থে ও শিক্ষক স্বার্থে লড়াই করছে তেমনই গুরুত্ব দিয়ে “অবৈধ সারপ্লাস ট্রান্সফার” নিয়ে লড়াই করবে। আর তাই, সব মিলিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন করে আবার ঝড় তুলতে চলেছেন মইদুল ইসলাম ও শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ বলেই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!