এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শীর্ষ আদালতে সবুজ সংকেত! নারদ মামলায় বড়সড় স্বস্তি মমতার! জেনে নিন

শীর্ষ আদালতে সবুজ সংকেত! নারদ মামলায় বড়সড় স্বস্তি মমতার! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নারদা কান্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট গ্রেপ্তার হওয়ার পরই সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপর থেকেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনায় প্রভাব সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। যার জেরে ব্যাপক চাপে পড়ে যান তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেস পরিবার। বর্তমানে সেই প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে এই মামলা যাতে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

তবে সম্প্রতি সিবিআইয়ের সেই প্রভাবশালী তত্ত্বকে উড়িয়ে দিয়ে হাইকোর্টে নিজেদের বক্তব্য জানাতে উদ্যত হন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কেন তিনি সিবিআই দপ্তরে উপস্থিত হয়েছিলেন, সেই ব্যাপারে হাইকোর্টের কাছে যুক্তির অবতারণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হাইকোর্ট সেই হলফনামা এবং জবাবী ভাষণ শুনতে রাজি হয়নি। আর তারপরেই এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

অবশেষে সুপ্রিমকোর্টে পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেলেন তিনি। যেখানে হাইকোর্টের পরবর্তী শুনানির দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক যে বক্তব্য দেবেন, তার ব্যাপারে শুনানি হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনকে কার্যত স্বীকৃতি দিল সুপ্রিম কোর্ট। যার ফলে নারদ মামলায় বড়সড় স্বস্তি পেলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারে শীর্ষ আদালতে একটি শুনানি হয়। আর সেখানেই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বড় নির্দেশ দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চে এই নারদ মামলার শুনানি চলছে। এক্ষেত্রে এই হলফনামার শুনানি সেই বেঞ্চে যাবে কিনা, সেটা বিচার্য বিষয়। পাশাপাশি আগামী 28 তারিখের মধ্যে আবেদনের কপি মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে হাইকোর্টে জমা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য প্রদানের পরেই কার্যত ধরে নেওয়া হয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে যে ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে, তাতে কার্যত সবুজ সঙ্কেত দিল দেশের শীর্ষ আদালত। এক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর বক্তব্য হাইকোর্টে রাখা যেতে পারে এবং তার ব্যাপারে যে শুনানির ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হল, তা কার্যত পরিষ্কার। যার ফলে হাইকোর্ট কিছুদিন আগে পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর বক্তব্য এবং হলফনামা গ্রহণ করতে না চাইলেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর হাইকোর্টকে সেই পথ অবলম্বন করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী 29 জুন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই নারদ মামলার শুনানি রয়েছে। আর তার আগেই নিজেদের যা যা বক্তব্য আছে, সেই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটকের বক্তব্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ নারদ মামলার শুনানির আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর বক্তব্য যাতে হাইকোর্টে পৌঁছে যায়, তা নিজেদের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিল দেশের শীর্ষ আদালত। যার ফলে যথেষ্ট স্বস্তি পেলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।

এক্ষেত্রে প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে বারবার এই নারদ মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা বের করতে শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে হাইকোর্টে নিজেদের বক্তব্য পেশ করা সম্ভব হয়নি মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর। তাই শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এবার সেই রাস্তাটি কার্যত পরিষ্কার করে দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী 28 তারিখের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী তাদের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য হাইকোর্টে রাখেন কিনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে 29 তারিখ নারদ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!