এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিশির-সুনীলের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে তৃণমূলের পাশে সুজন, সিপিএম নেতার পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা!

শিশির-সুনীলের সদস্যপদ খারিজ নিয়ে তৃণমূলের পাশে সুজন, সিপিএম নেতার পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সাল থেকে বিরোধী দলের জায়গা দখল করার বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলবদল নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যেখানে সিপিএম এবং কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার পর দলত্যাগ বিরোধী আইনের মধ্যে দিয়ে তাদের সদস্যপদ খারিজ করার দাবি তুলেছে কাস্তে হাতুড়ি এবং হাত শিবির। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের সেই কথায় কর্ণপাত করা হয়নি। যার ফলে বিধানসভার বাইরে এবং ভেতরে বারবার প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে বাম এবং কংগ্রেসকে।

তবে এবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া মুকুল রায়ের সদস্যপদ খারিজ করার জন্য যখন উদ্যত ভারতীয় জনতা পার্টি এবং পাল্টা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া দুই সাংসদ শিশির অধিকারীর এবং সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ খারিজ করতে লোকসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস, তখন কার্যত এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল সিপিএমকে। যেখানে গোটা ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।

স্বাভাবিক ভাবেই যারা এতদিন দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর না করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতেন, সেই সিপিএমের পক্ষ থেকে সুজন চক্রবর্তী দলবদল করা লোকসভার দুই সাংসদের সদস্যপদ তৃণমূল খারিজ করতেই তাদের সমর্থন দিয়ে কি ইঙ্গিত দেওয়ার চেষ্টা করলেন, এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। একাংশ বলছেন, সুজন চক্রবর্তী এক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করলেন, নীতিগত ক্ষেত্রে তারা এই বিষয়টিকে সমর্থন করেন।

অর্থাৎ যারা দলবদল করছেন, পরবর্তীতে অন্য দলে গেলে তাদের সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ হওয়া উচিত‌। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি করতে দেখা গিয়েছে বামেদের। আর এবার তৃণমূল দল বদল করা দুই সাংসদের পদ খারিজ করতে উদ্যোগ নেওয়ার সাথে সাথেই তাকে সমর্থন করে তাদের নীতি যে সবসময় এক, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করলেন প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বস্তুত, সম্প্রতি দলবদল নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য বিধানসভা এবং দেশের লোকসভায়। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় ভারতীয় জনতা পার্টি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার সাথে সাথেই দলে ভাঙ্গন আটকানোর জন্য উদ্যোগী হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলত্যাগ বিরোধী আইন যাতে কার্যকর করা হয়, তার জন্য রাজ্যপালের দ্বারস্থ হতে দেখা যায় তাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে শুভেন্দু অধিকারী এবং ভারতীয় জনতা পার্টিকে পাল্টানোর চাপে রাখবার জন্য তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগদান করার পরেও তারা সাংসদ পদ রেখে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে লোকসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হয়ে দ্রুত যাতে তাদের সদস্যপদ খারিজ করা যায়, তার জন্য আবেদন করেছেন তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে গোটা প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানালেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। অর্থ্যাৎ দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

প্রথম এবং দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে তাদের অনেক বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগদান করার পরে দলত্যাগ বিরোধী আইনের দাবি তুলতে শুরু করেছিল সিপিএম। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এখন এই পরিস্থিতিতে যদি দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়, তাহলে তাকে স্বাগত জানিয়ে নিজেদের নীতি বজায় রাখতে দেখা গেল মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টিকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এক্ষেত্রে সুজন চক্রবর্তী বোঝানোর চেষ্টা করলেন, তাদের প্রতিনিধি বিধানসভায় না গেলেও, তারা এর পক্ষে রয়েছেন।

অর্থাৎ একদল থেকে অন্য দলে যাওয়া জনপ্রতিনিধিদের যাতে সদস্যপদ খারিজ করে দেওয়া যায়, এই দাবি সিপিএমের দীর্ঘদিনের। আর তাই এখন তৃণমূল বা বিজেপি, বিধানসভা এবং লোকসভায় যখন একে অপরকে চাপে ফেলতে সেই দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে, তখন নিজেদের অতীতের করা বক্তব্যে অনড় থাকতে দেখা গেল সিপিএমকে। তবে এই আইন নিয়ে কতটা সদর্থক ভূমিকা দেখানো হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় প্রকাশ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!