এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিশুপাচার কাণ্ডেও তৃণমূল-বিজেপি তরজা, বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই চাঞ্চল্য!

শিশুপাচার কাণ্ডেও তৃণমূল-বিজেপি তরজা, বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতেই চাঞ্চল্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শিশু পাচার কান্ডকে ঘিরে অনেক দিন ধরেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তবে সম্প্রতি রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই শিশু পাচার কাণ্ডে তিন ব্যক্তিকে সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর তারপরেই বিস্ফোরক তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তির মধ্যে সতীশ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। যে ঘটনায় তিনি মূল অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাঁকুড়া 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপ বাউরির বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই এই শিশু পাচার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসায় রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে শাসকদল। যদিও বা সেই তৃণমূল নেতার পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দিকে দোষারোপ করা হয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় রাজনীতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি হেফাজত হয়েছে জহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া, সতীশ ঠাকুর এবং স্বপন দত্তের। আর তারপরেই সতীশ ঠাকুরের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বিস্ফোরক অভিযোগ। এদিন তিনি বলেন, “সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিক শত্রুতা করা হয়েছে। আর এই শত্রুতা করেছেন তৃণমূলের সন্দীপ বাউরি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে এক তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসতে শুরু করেছে। যদিও বা সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা চন্দন বাউরি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি বলেন, “সতীশ সম্পূর্ণরূপে বিজেপি নেতাদের শেখানো কথা বলছেন। তার কিছু বলার থাকলে তিনি প্রথমেই এই কথা বলতে পারতেন। তৃণমূল যখন অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রাজপথে নেমেছে, তাই তিনি এই ধরনের কথা বলছেন। সিআইডি তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তেই আসল সত্য উঠে আসবে।” আর স্পর্শকাতর এই বিষয়েও যেভাবে রাজনৈতিক তরজা সামনে এল, তাতে নানা মহলে গুঞ্জন বাড়তে শুরু করেছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, বর্তমানে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা গোটা বিষয়টি নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। সেদিক থেকে সিআইডি তদন্তে কি প্রকাশ্যে আসবে, তা লক্ষণীয় বিষয়। তবে তার আগেই যেভাবে ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সতীশ ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি এবং তার মূল অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, তাতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদি সত্যি সত্যিই অভিযুক্ত ব্যক্তির তোলা এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে ঘাসফুল শিবির যে অনেকটাই চাপের মুখে পড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও বা বিরোধীদের দাবি, সিআইডিকে দিয়ে প্রকৃত তদন্ত করানো সম্ভব নয়। তবে আদালতের নির্দেশে সিআইডি হেফাজতে অভিযুক্ত যাওয়ার পর গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কোন দিকে এগোয় তদন্ত, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!